বৈশ্বিক মহামারি করোনার আঁচ লেগেছে চট্টগ্রাম বন্দরের ধারাবাহিক অগ্রগতির মাইলফলকে। এক বছরের ব্যবধানে বিশ্বের সেরা ১০০ কনটেইনার পোর্টের তালিকায় ৯ ধাপ পিছিয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরটি।
মেরিটাইম বিশ্বে মর্যাদার আসনে থাকা লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের প্রাচীনতম সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্টে ২০২১ সালের ব্যস্ত বন্দরগুলোর তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৭তম। ২০২০ সালের বন্দরের হ্যান্ডলিংসহ বিভিন্ন সূচকের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা তৈরি করে লয়েডস লিস্ট। ২০২০ সালে এ তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮তম।
সোমবার (২৩ আগস্ট) দিনগত রাতে তালিকাটি প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
লয়েডসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বে ৬৩ কোটি ২০ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। যা ২০১৯ সালের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কম। আর একই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন কমেছে ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশের আমদানি রফতানির কনটেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। এর আগে ৭ বছর বৈশ্বিক ক্রমতালিকায় এগিয়ে যাওয়ার পর এবার করোনার কারণে হোঁচট খেল বন্দর। ২০১৩ সালে কনটেইনার পরিবহনে বিশ্বে চট্টগ্রামের অবস্থান ছিল ৮৬তম।
লয়েডস লিস্টের তালিকায় বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই। এর পরের অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর বন্দর।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, লয়েডস লিস্টে ৯ ধাপ পিছিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। এটা বন্দরের সক্ষমতার অভাব বা গাফিলতি নয়। ২০২০ সালে করোনার প্রথম ধাক্কাতে সারা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছিল। বিশ্বের বড় বড় বন্দর, উন্নত দেশ দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। মেরিটাইম বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়েছিল। তখনো চট্টগ্রাম বন্দর ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন সচল ছিল। আশাকরি বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর সেরা ১০০ কনটেইনার পোর্টে সামনে অনেক এগিয়ে আসবে।