সতের দিনে আরও প্রায় পাঁচশ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে মোট ১২ হাজার ৫১১ জনের।
সংক্রমণের বিস্তার রোধে কঠোর লকডাউনের মধ্যেই গত ১১ মে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা ১২ হাজার পেরিয়েছিল। তার সঙ্গে আরও পাঁচশ নাম যুক্ত হতে সময় লাগল ১৭ দিন।
গত এক দিনে আরও ১ হাজার ৩৫৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ জন হয়েছে।
সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৬৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন; এ পর্যন্ত সুস্থ মোট হয়েছেন ৭ লাখ ৩৬ হাজার ২২১ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ লাখ ১২ হাজারের বেশি মানুষের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৯৭টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৬০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ১ হাজার ৮৭৪টি নমুনা।
শুক্রবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৩ লাখ ১১ হাজার ৪২২টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৫২টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ১৮ জন পুরুষ আর নারী ১৩ জন। তাদের ২৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ৪ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তাদের মধ্যে ১৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, ১ জনের বসয় ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১০ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৫১১ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৩৭ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪৭৪ জন নারী।