ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ৯০৬ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২০২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮১ হাজার ৯৪৫ জনে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫৭১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ এক হাজার ১৯৪ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৩৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১২ টি, জিন-এক্সপার্ট ১৫টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ১০টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭ হাজার ২০০টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬২২টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ২৪ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩২ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও নারী সাত জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ছয় জন। এছাড়া বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে এক জন করে তিন জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৩২ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিন জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২১১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৪৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯২ হাজার ৮৭২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮০ হাজার ৭৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৭৯৬ জন।