জাতীয়

কুশিয়ারার জন্য এমওইউ চূড়ান্ত, তিস্তায় ফের আশ্বাস

দিল্লিতে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হয়েছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনের লক্ষ্যে হতে চলা সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের পানি সম্পদমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হয়।

আলোচনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “কুশিয়ারা নদীর অন্তর্বর্তী পানিবণ্টনের ওপর সমঝোতা স্মারকের বিষয়বস্তু চূড়ান্ত করেছে উভয় দেশ।”

পাশাপাশি ২০১৯ সালের সমঝোতা স্মারকের আলোকে ফেনী নদীর যে অংশ থেকে ত্রিপুরার সাব্রুমের জন্য পানি নেওয়া হবে, তার স্থান নির্ধারণ ও নকশা বৈঠকে চূড়ান্ত করার কথা জানানো হয় বিবৃতিতে।

দীর্ঘ ১২ বছর পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জেআরসির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বৈঠকে নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীমও ছিলেন বৈঠকে।

জেআরসি: কুশিয়ারার জন্য এমওইউ চূড়ান্ত, তিস্তায় ফের আশ্বাস

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নদীর যৌথ প্রবাহ থেকে উভয় দেশ যাতে পানি নিতে পারে, সেজন্য দ্রুত সময়ে এমওইউ স্বাক্ষরে ভারতকে সহযোগিতার অনুরোধ করে বাংলাদেশ। ভারত নিশ্চিত করেছে, এটা তাদের সক্রিয় বিবেচনার মধ্যে রয়েছে।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ দিন ঝুলে থাকা এ চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করার অনুরোধ বাংলাদেশ আবারও জানিয়েছে বৈঠকে।

অন্যদিকে ভারত এ চুক্তি শেষ করতে ‘সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের প্রাপ্য পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের উপায় বের করতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ।

জেআরসি: কুশিয়ারার জন্য এমওইউ চূড়ান্ত, তিস্তায় ফের আশ্বাস
ভারতীয় হাই কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, যৌথ নদীগুলোর পানিবণ্টনের আলোচনার পাশাপাশি বন্যা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়, নদী দূষণ রোধ ও নদীতীর রক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টনের সমঝোতা স্মারকটি সই হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

এর আগে যৌথ নদী কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *