করোনাভাইরাস মহামারীতে আরও একটি মৃত্যুহীন দিন পার করল বাংলাদেশ, তিন দিন পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমে এল ফের একশর নিচে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৯২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সময়ে নতুন করে কোনো কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর আসেনি।
গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শুন্য দশমিক ৭৬ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকে ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শনাক্তের হার ছিল শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এরপর শনাক্তের হার এর চেয়ে নিচে আর নামেনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৭২ জন হয়েছে। নতুন কারও মৃত্যুর খবর না আসায় মহামারীতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১১৮ জনই আছে।
বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়া নতুন রোগীদের মধ্যে ৬৭ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। আর তাদের মধ্যে ৫৬ জনই ঢাকা জেলার।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও এক হাজার ১১৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৭১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
গতবছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে সংক্রমণ কমে এলেও অতি সংক্রামক ওমিক্রন ধরনের দাপটে এ বছরের শুরুতে তা আবার বেড়ে যায়। ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে তা আবার কমতে শুরু করে।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বরের পর গত ১৬ মার্চ একদিনে কারও মৃত্যু না হওয়ার খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময় টানা তিনদিন কারও মৃত্যু হয়নি।
এরপর ১৮ মার্চ দুজন, ২০ মার্চ ৩ জনের মৃত্যুর খবর আসে করোনাভাইরাসে। সোমবার এবং মঙ্গলবার দিন কারও মৃত্যু হয়নি, বুধবার একজনের মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার আরও একটি দিন করোনাভাইরাসে মৃত্যুহীন কাটল।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬১ লাখ ৫ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৫৯ লাখের বেশি।