রাজনীতি

খালেদা জিয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে ‘অপেক্ষা’ করতে বললেন আইনমন্ত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদনের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে ‘অপেক্ষা’ করতে বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার ঢাকায় বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন তিনি।

খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী এক কথায় বলেন: “একটু অপেক্ষা করুন, দেখবেন।”

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর এ ধরনের একটি কর্মশালা উদ্বোধনের পর আইনমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে ‘আইনি উপায়’ খোঁজার কথা বলেছিলেন।

আর চারদিন আগে গুলশানের বাসায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার বিষয়ে আবেদন বিবেচনা করতে ‘নজির’ খুঁজছেন। উপমহাদেশে কোনো আদালতে এমন ‘নজির আছে কি না’ তা দেখে ‘কিছুদিনের মধ্যেই’ সিদ্ধান্ত জানাবেন।

এরপর গত শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় এক সমাবেশে খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবি নিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে ‘কটাক্ষ’ করেন আইনমন্ত্রী।

সে সমাবেশে তিনি বলেন, “একটা কথা আছে না… দাঁড়াইতে দিলে বইতে চায়, বইতে দিলে শুইতে চায়। আর শুইতে দিলে ঘুমাইতে চায়। এখন অবস্থা হইছে এই রকম আর কি। এখন কয় বিদেশে যাইতে দিতে হবে।”

রোববার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ৩০ জন জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা জজদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন আইনমন্ত্রীকে। এবার তিনি বললেন অপেক্ষা করার কথা।

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া এখন সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত। দেড় বছর আগে তার সাময়িক মুক্তির শর্তে বলা হয়েছিল, তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার ‘পরিপাকতন্ত্রে’ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কথা জানান চিকিৎসকরা।

এর মধ্যে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর আবেদন করা হয় খালেদা জিয়ার পরিবার-স্বজনদের পক্ষ থেকে।

গত ২৩ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেন বিএনপিপন্থি ১৫ জন আইনজীবী।

এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় চেয়ে আইনমনন্ত্রী তখন জানান, স্মারকলিপিটি ‘অবশ্যই’ পর্যালোচনা করা হবে। তবে সিদ্ধান্ত ও মতামতের বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *