গণ আন্দোলনের মাধ্যমেই বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন হলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না মানুষ। বরিশাল মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন হলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না মানুষ। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেভাবে মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছিলো সেভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য উপস্থিত বিএনপি কর্মীদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইতিহাস বিকৃত হয়ে গেছে। লুটতরাজকারীরা মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি মিয়ানমারের কথা উল্লেখ করে বলেন সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। অথচ বিএনপি’র সমাবেশে পথে পথে বাঁধা দিচ্ছে যা সামরিক শাসনের চেয়েও খারাপ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিুবর রহমান, বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন প্রমূখ।
এদিকে বিএনপি’র সমাবেশকে কেন্দ্র করে সমাবেশস্থলের আশপাশে জলকামান, সাজোয়া যান এবং রেকারসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সমাবেশের স্থান ও এবং পুলিশের অনুমতি নিয়ে ধোয়াশা থাকলেও বুধবার রাতে জিলা স্কুল মাঠ ব্যবহারের জন্য মৌখিক অনুমতি দেয় মেট্রোপলিটন পুলিশ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়। দুপুর ১টার পর এসব চেকপোস্টে ব্যাপক কড়াকড়ির মাধ্যমে সমাবেশ স্থলমুখীদের বাঁধা প্রদান করে পুলিশ। ফলে সাধারণ যাত্রীদেরও পোহাতে হয় দুর্ভোগ।