গ্রামের গরিব মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গ্রহণ করে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩ (পজীপ)। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে ২২২টি ফটোকপিয়ার মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত হয় গত বছরের শুরুর দিকে।
তখন দেশের বাজারে তোশিবা ব্র্যান্ডের ‘ই-স্টুডিও ২৮২৩ এএম’ মডেলের একটি ফটোকপিয়ারের মূল্য ছিল ৬০ হাজার টাকা। অথচ মূল্যর চেয়ে আড়াইগুণ বেশি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে স্পেসিফিকেশন ও বাজার দর নির্ধারণ করে কমিটি।
পরে গ্লোরী অফিস সল্যুশন প্রতিটি মেশিন সরবরাহ করে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা করে। অথচ এ প্রতিষ্ঠানই বিআরডিবি’র আগে একই পণ্য অন্যত্র দেয় ৬০ হাজার টাকায়। যা ফটোকপিয়ার ক্রয়ের টেন্ডারে অভিজ্ঞতা হিসাবেও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এরপরও চড়া দামে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ফটোকপিয়ার মেশিন ক্রয়ের মাধ্যমে কোটি টাকারও বেশি লোপাট হয়েছে। আরও কোটি টাকার বেশি লোপাটের আয়োজন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ফটোকপিয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে লোপাটের আয়োজন করতে ধাপে ধাপে গুরুতর অনিয়ম হয়েছে। লঙ্ঘন করা হয়েছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর)। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে পিপিআর বহির্ভূত অবাস্তব শর্ত দেওয়া হয়েছে টেন্ডার ডকুমেন্টে।
শুধু কাজ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, বিল পরিশোধেও অনন্য রেকর্ড হয়েছে এক্ষেত্রে। কার্যাদেশটি দেওয়া হয় গত বছরের ২৮ জুন। এর পরদিনই ১১১টি সরবরাহকৃত পণ্যের বিল পরিশোধ করা হয় গ্লোরী অফিস সল্যুশনকে। অথচ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনোক্রমেই এক
মাসের নিচে বিল পরিশোধের সুযোগ নেই। কারণ কার্যাদেশ প্রদানের পর মালামাল সরবরাহের জন্য প্রস্তুত, গুণগত মান যাচাই, বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানোসহ সামগ্রিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতেই এই সময় লেগে যায়। এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে চলতি অর্থবছরে সরবরাহ করা আরও ১১১টি পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কিছুদিনের মধ্যেই এর বিল পরিশোধ করা হতে পারে। এটা পরিশোধ হলে সম্পন্ন হবে দুই কোটি টাকারও বেশি লোপাটের আয়োজন।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে পজীপ-৩ এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজ বলেন, বাজার যাচাই করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ৬০-৬৫ হাজার টাকায় একই মডেলের যে পণ্যটির কথা বলা হচ্ছে, সেটি জেনুইন প্রডাক্ট কিনা দেখার বিষয় আছে।
সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে দ্বিতীয় সর্বনিম্নকে কাজ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মূল্যায়ন কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। তৃতীয় প্রতিষ্ঠান টেন্ডারের সব শর্ত পূরণ করতে পারেনি।
শর্ত পূরণ করতে না পারলে তাকে নিশ্চিতকরণের চিঠি কেন দেওয়া হলো-এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, এটা মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল। অপারগতা প্রকাশ করা প্রতিষ্ঠানের জামানত বাজেয়াপ্ত না করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার ক্লিয়ার ধারণা নেই। এই মুহূর্তে আপনাকে রিপ্লাই করতে পারছি না। টেন্ডারের সময় নির্ধারণে অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা টেন্ডার মূল্যায়নের মিটিংয়ে প্লেস করেছিলাম। কমিটি সেটি বিবেচনা করেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফটোকপিয়ার মেশিন ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায় থেকেই শুরু হয় অনিয়ম। নিয়ম অনুযায়ী, টেন্ডার আহ্বানের আগে প্রকৃত বাজারদর যাচাই করে ভ্যাট, আয়কর ও পরিবহণ ব্যয়সহ পণ্যের দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করতে হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায়, চলতি বছরের ৮ মে প্রকৃত মূল্যের আড়াইগুণ বেশিতে একেকটি ফটোকপিয়ারের মূল্য নির্ধারণ করে স্পেসিফিকেশন ও বাজার মূল্য নির্ধারণ কমিটি। এতে প্রতিটির দাম পড়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অথচ মেশিনগুলো সরবরাহের কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান গ্লোরী অফিস সল্যুশন তার আগের বছরের ১৯ জুনের এক কার্যাদেশ অনুযায়ী ফুনা ইনফো টেক লি.-কে একই মডেল ও ব্র্যান্ডের ফটোকপিয়ারের প্রতিটি মাত্র ৬০ হাজার টাকায় সরবরাহ করে।
এই সরবরাহের তথ্যও দরপত্র জমার অভিজ্ঞতা হিসাবে উল্লেখ করেছে গ্লোরী অফিস সল্যুশন। অভিজ্ঞতার সেই সনদে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটিরও ইনিশিয়াল (নমুনা স্বাক্ষর) রয়েছে। এমনকি ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমার পরেও বর্তমানে তোশিবা ব্র্যান্ডের ‘ই-স্টুডিও ২৮২৩ এএম’ মডেলের প্রতিটি ফটোকপিয়ারের খুচরা বাজার মূল্য ৭৪ থেকে ৭৮ হাজার টাকা।
পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ঘুরে পাওয়া গেছে এমন বাজারদরের চিত্র। এ অবস্থায় গ্লোরী অফিস সল্যুশন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে শুধু নির্দিষ্ট এই ব্র্যান্ডের পণ্যের মূল্য গায়েব করে দেয়। কিছুদিন বাদে আবার ওয়েবসাইটে পণ্যটির মূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জুড়ে দেয় তারা।
এছাড়া দাপ্তরিক প্রাক্কলিত ব্যয় নিরূপণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি পিপিআর বিধি ২৯(৩)। যেখানে কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড ও মডেলের কারিগরি বিনির্দেশের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত বিস্তারিত উল্লেখ করতে না পারার নির্দেশনা রয়েছে।
টেন্ডারের সময় নির্ধারণে অনিয়ম : পিপিআর বিধি ৬১(৪) অনুযায়ী, ২ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে এবং ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পণ্য ক্রয়ের বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে টেন্ডার প্রণয়ন ও দাখিলের ন্যূনতম সময় ২১ দিন। সময় ২১ দিনের কম হলে পুনঃটেন্ডার আহ্বান করতে হয়।
এ ক্ষেত্রে টেন্ডার নোটিশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ১৮ মে। টেন্ডার দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ছিল ১ জুন। সময় ছিল মাত্র ১৪ দিন। যা পিপিআর’র পুরোপুরি লঙ্ঘন। কারণ প্রাক্কলিত ব্যয়ে ফটোকপিয়ারসহ অফিস ইক্যুইপমেন্টের (এয়ারকন্ডিশন, সাউন্ড সিস্টেম) ক্রয়মূল্য ছিল ৩ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সময় কম দেওয়ায় অনেক ভালো প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
অবাস্তব শর্ত : নিয়ম অনুযায়ী, টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অত্যধিক সুযোগ দেওয়ার মতো কোনো শর্ত প্রয়োগ করা যায় না। এক্ষেত্রে টেন্ডার ডকুমেন্টে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫০ শতাংশ ফটোকপিয়ার সরবরাহের অবাস্তব শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৮ মে পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। দাখিলের সময় ছিল ১ জুন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী সাধারণত টেন্ডার মূল্যায়ন ও চুক্তি সম্পাদনের জন্য আরও এক মাসের মতো সময় প্রয়োজন হয়। সেই হিসাবে পিপিআর’র বিধিবিধান অনুযায়ী কোনোভাবেই ২০২১-২২ অর্থবছরের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন বা কার্যাদেশ প্রদানের সুযোগ নেই।
তাছাড়া এ বিপুলসংখ্যক ফটোকপিয়ার সরবরাহের ক্ষেত্রে চুক্তি/কার্যাদেশ প্রাপ্তির পর এলসি খুলে আমদানির পর সরবরাহ করতেও ৩-৪ মাসের মতো সময় প্রয়োজন। অবাস্তব শর্তের ফলে কোনো স্বনামধন্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টেন্ডারে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়নি। এক্ষেত্রে শুধু ওই প্রতিষ্ঠানই টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা সম্ভব, যার গোডাউনে ন্যূনতম ১১১টির মতো ফটোকপিয়ার মজুত আছে। তাই সুকৌশলে পিপিআর বহির্ভূতভাবে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতেই অবাস্তব শর্ত প্রয়োগ করা হয়েছে।
যোগসাজশে হরিলুট, বাজেয়াপ্ত হয়নি জামানত : এদিকে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টেন্ডারে প্রতিযোগিতা হয়েছে-এমনটি প্রমাণে বেশকিছু কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এখানেও হয়েছে অনিয়ম। ৩টি ভিন্ন নামের প্রতিষ্ঠানের এই টেন্ডার দাখিল করে। টেন্ডার উন্মুক্ত করার পর দেখা যায়, মডার্ন টেলিকম সিস্টেম ২ কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০ টাকা, গ্লোরী অফিস সল্যুশন ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা এবং সায়েম কম্পিউটারস ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬০০ টাকায় টেন্ডার দাখিল করে।
এরমধ্যে ১ম সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান মডার্ন টেলিকম সিস্টেম। তারা প্রতিটি ফটোকপিয়ারের দাম দেয় এক লাখ তিন হাজার ৫০০ টাকা। এই দরও ছিল তৎকালীন বাজারমূল্যের চেয়ে ৩৫-৪০ হাজার টাকা বেশি। দাখিলকৃত দরে মালামাল সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রতিষ্ঠানটির টেন্ডার জামানত ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা।
কিন্তু তা না করেই ২য় সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান গ্লোরী অফিস সল্যুশনকে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকায় কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। পিপিআর বিধি ৯৮(১৪) অনুযায়ী, বাজারমূল্যের সঙ্গে পণ্যের মূল্য সঙ্গতিপূর্ণ না হলে, কোনো প্রতিষ্ঠান অপারগতা প্রকাশ করলেই দ্বিতীয় সর্বনিম্ন প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়ার সুযোগ নেই।
অনুসন্ধানে আরও উঠে আসে, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে মডার্ন টেলিকম সিস্টেমের দর কম হওয়ায় ৮ জুন প্রতিষ্ঠানটিকে দরপত্রে উল্লিখিত দর নিশ্চিতকরণে একটি চিঠি দেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি)। কিন্তু পিপিআর’র ৯৮ এর ৮ বিধি অনুযায়ী পিডির পক্ষ থেকে এমন চিঠি দেওয়ার সুযোগ নেই। এদিকে এর পরদিনই ডলারের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে মডার্ন টেলিকম দরপত্রে দেওয়া মূল্যে মালামাল সরবরাহে অপারগতা প্রকাশ করে পিডিকে চিঠির উত্তর দেয়।
অথচ ডলারের মূল্যবৃদ্ধির পরেও ফটোকপিয়ারের বাজারমূল্য ছিল দরপত্রে দেওয়া মূল্যের চেয়ে কম। বর্ধিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করলেও তাদের অনেক লাভ হওয়ার কথা। এতকিছুর পরেও নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির জামানত বাজেয়াপ্ত না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, শুধু পারস্পরিক যোগসাজশে হরিলুটের পরিকল্পনা থাকলেই এমন হওয়া সম্ভব।
শুধু তাই নয়, ১৫ জুন দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির ৪র্থ সভার কার্যবিবরণীতেও রয়েছে নানা অসঙ্গতি। সেখানে ৩য় সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, প্রস্তাবিত দরে মালামাল সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় মডার্ন টেলিকম সিস্টেমকে ‘নন-রেসপনসিভ’ ঘোষণা করা হয়।
পরে ৪র্থ সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী মালামাল সরবরাহের অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায় পিপিআর বিধি ৯৮(৩) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ‘নন-রেসপনসিভ’ ঘোষণা করা হলো। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, যদি পিপিআর বিধি ৯৮(৩) অনুযায়ী অভিজ্ঞতায় ঘাটতির ফলে তাদের বাদ দেওয়া হয়, তাহলে পিডি প্রকৃত বাজারমূল্য যাচাই না করেই কেন পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতে চিঠি দিল?
মূল্য পুনঃপরীক্ষার নির্দেশনা উপেক্ষিত : এদিকে পিপিআর’র বিধি ৯৮(২৩) অনুযায়ী, দরদাতা যদি দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য থেকে উল্লেখযোগ্য কম দাম উদ্ধৃত করে দরপত্র দাখিল করে তবে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য পুনঃপরীক্ষার বিধান রয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি এর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করবে।
এক্ষেত্রে দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য পরীক্ষা করা হয়েছে উল্লেখ করলেও প্রকৃত বাজারদরের সঙ্গে তা কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ফলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এখানে প্রকৃত মূল্য পরীক্ষা করা হয়নি। সে কারণেই ১ম সর্বনিম্ন দরদাতা থেকে ১ কোটি ২২ লাখ ১ হাজার ৭০০ টাকা বেশি দরে ২য় সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকায় টেন্ডারটি গ্রহণে সুপারিশ করে।
কেনাকাটায় দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আ. গাফফার খান বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানটিতে নতুন এসেছি। সবকিছু বুঝে নিচ্ছি। কোনো অনিয়ম পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।