অর্থনীতি

চীন থেকে এল আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা…

চীন সরকারের উপহার সিনোফার্মের ৬ লাখ ডোজ কোভিড-১৯ টিকা বাংলাদেশে পৌঁছেছে।

এ নিয়ে সিনোফার্মের তৈরি ১১ লাখ ডোজ টিকা উপহার পেল বাংলাদেশ। এ দিয়ে সাড়ে ৫ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া যাবে।

এর আগে গত ১২ মে প্রথম চালানে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা এসেছিল চীন থেকে।

দ্বিতীয় চালান নিয়ে রোববার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে বিমানবাহিনীর দুটি সি-১৩০ উড়োজাহাজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটিতে নামে।

টিকা নিতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক, ইপিআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাওলা বক্স।

ডা. শামসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “এই টিকা দুই থেকে আট ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখতে হয়। এজন্য ইপিআইয়ের কোল্ড স্টোরেজে নিয়ে রাখা হবে।”

এসব টিকা কাদের দেওয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্রাধিকার তালিকায় মেডিকেল শিক্ষার্থীরা রয়েছেন।

“এই মুহূর্তে মেডিকেল, নার্সিং, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আছেন। কিন্তু এরা সংখ্যায় এত বেশি না। এছাড়া বিভিন্ন এক্সপোর্ট জোন, বিশেষ প্রকল্পে যারা কাজ করছেন তারাও আছেন অগ্রাধিকার তালিকায়। অগ্রাধিকার তালিকায় আগে ছিলেন, কিন্তু বাদ পড়েছেন, এমন জনগোষ্ঠীকেও এই টিকা দেওয়া হবে।”

ঢাকায় বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটিতে বিমানবাহিনীর সি-১৩০ উড়োজাহাজে চীনের উপহার দেওয়া সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভিএই চালানে ৬ লাখ ডোজ টিকা ছাড়াও সিরিঞ্জ, ভেন্টিলেটর, মাস্কসহ আরও কিছু উপহার এসেছে বলে জানান ডা. শামসুল হক।
তিনি জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দেওয়া কিছু সুরক্ষা সামগ্রীও একই উড়োজাহাজে এসেছে।

আইএসপিআর জানিয়েছে, এই টিকা আনতে শনিবার বিমান বাহিনীর দুটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বিমান বাহিনীর ২৬ জন ক্রু এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের একজন প্রতিনিধি দুটি বিমানে ছিলেন।

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দিয়ে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।

সেরাম থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হলেও ভারত মহামারীর করাল গ্রাসে পড়লে টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। ফলে বাংলাদেশে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার পর আর পায়নি।

এরপর সরকার টিকার জন্য চীনের দিকে হাত বাড়ায়। চীন থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ৫ লাখ ডোজ টিকা থেকে ২৫ মে প্রয়োগ শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *