রাজনীতি

ড. ইউনূসকে নিয়ে বিএনপির নতুন খেলা শুরু: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিএনপি নতুন খেলা শুরু করেছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মহাসচিব গেছেন চিকিৎসা নিতে সেখান থেকে আন্দোলন করার ডাক দিয়ে রোজ রোজ বিবৃতি পাঠাচ্ছেন। ঠিক আছে পাঠাক। তাকে আমি প্রশ্ন করি, তিনি একটা বিবৃতি দিলেন এক জনের পক্ষে তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞাসা করতে চাই জাতির সর্বকালে সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর যে মানুষটি একটা শোকও প্রকাশ করেননি, চার জাতীয় নেতাকে জেলের মধ্যে মারলো একটা কথাও বলেননি। বাংলাদেশের মানুষ, বিদেশকে আমি জিজ্ঞাসা করবো এই ড. ইউনূস আমাদের শহীদ মিনারে যান, কোনো দিন গেছেন এই ড. ইউনূস? আমাদের বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে কখনও এসেছেন, কখনও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। আমাদের দেশে ভয়াবহ করোনার যে আক্রমণ তখনও ইউনূস কোনো কথা বলেননি।

তিনি বলেন,বাংলাদেশের সুখে দুঃখে নেই, সেই মানুষের জন্য আমাদের এতো মায়া কান্না কেন? তিনি নোবেল পেয়েছেন কিন্তু নোবেল পেলেই কোনো অপরাধ করে অব্যাহতি পেয়ে যাবেন, এটা কোন দেশের আইনে আছে? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন নেই। শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলেই শ্রমিকরা মামলা করেছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকের টাকা মেরে খেয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন এই সব নিয়ে মামলা হয়েছে। যারা বিবৃতি দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী, আরও আন্তর্জাতিক ১১৬ ব্যক্তি। এই বিবৃতি যে স্পেসে দেওয়া হয়েছে সেটা কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার লাগে, হিসাব করেন দুই মিলিয়ন ডলার। এই টাকা কোথায় পেলো, এ অর্থ কোথা থেকে এলো সেটাও আমরা জানতে চাই। মির্জা ফখরুলরা আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়ে, আন্দোলন আর এখন জমে না। বাজারে ভাটা পড়ে গেছে এ অবস্থায় আবার নতুন খেলা ড. ইউনূসকে নিয়ে শুরু করেছে ওয়ান ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছেন।

তিনি বলেন, ইউনূস সাহেবের মামলা স্থগিত করতে বলেন। মামলা কীভাবে স্থগিত হবে। আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি দিয়ে দিলেন। আবার এর সঙ্গে একটু, দ্বিধা লাগে যখন দেখি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনও চান। এ বিবৃতির সঙ্গে আবার আরেক পার্ট রয়েছে। আসল কথা হলো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি সামনে রেখে বাংলাদেশে নির্বাচনকে বানচাল করা, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে নষ্ট করাই তাদের উদ্দেশ্য।

যে যাই করুক বা বলুক বাংলার মাটিতে কোনো অশুভ খেলা খেলতে দেওয়া হবে বলেও সাফ জানিয়ে দেন মন্ত্রী।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *