ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়েরই অবদান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি ও আমার বন্ধু সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই কম্পিউটার শিখেছি।
মঙ্গলবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আজ সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিন। তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
জয়ের জন্মদিনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের জয়ের জন্মদিনে আমরা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলাম। তারা আমাকে হাসপাতালে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু মাকে যেতে দেয়নি। আম্মাকে তারা বলেছিল হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স আছেন, তারা দেখবেন। আপনি তো এগুলোর কিছুই না। আপনি গিয়ে কী করবেন? আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি আমার ছেলেটা সুস্থভাবে জন্ম নিয়েছিল।
করোনা টিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রাম পর্যায়ে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। সেখানে শুধু রেজিস্ট্রেশন করতে হবে তা নয়, আইডি কার্ড দেখিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে সরাসরি টিকা নিতে পারবে সাধারণ মানুষ। সেজন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, অনেকেই করোনা টেস্ট করতে চায় না। তাদের ধারণা টেস্ট করলে, করোনা আছে শুনলে সে অচ্ছুত হয়ে যাবে, মানুষ মিশবে না- এই ভয় করে। কিন্তু এটা তো ঠিক না। টেস্ট করলে তার চিকিৎসা হবে, অন্যকে সংক্রমিত করবে না। নিজে বাঁচবে এবং অন্যকে বাঁচাবে এই ধারণাটা সবার মধ্যে দিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, টিকা যেখানেই পাওয়া যাচ্ছে আমরা কিনছি। তার জন্য টাকাও রাখা আছে। প্রয়োজনে আরও টাকা খরচ করবো। ইতোমধ্যে ১ কোটি ৮৭ লাখের কাছাকাছি টিকা দেওয়া হয়ে গেছে।
এর আগে জয়ের জন্মদিন উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যের একটি স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে দশ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড ও বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করেন তিনি।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলা ও ইংরেজি আলাদা দু’টি বই ‘সজীব ওয়াজেদ জয় তারুণ্যদীপ্ত গর্বিত পথচলা’ এবং ‘Sajeeb Wazed Joy A Spirited Graceful Journey’ স্মারক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন।