জাতীয়

দেশে করোনায় প্রাণ গেল আরও ৬৩ জনের

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৩ হাজার ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

একই সময় আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ৮৪০ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৭ জনে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৬ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৪টি, র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৫ হাজার ৭৭১ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৮৭১ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৬৫৭ টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৩২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৬৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ২০ জন, বরিশালে তিনজন। এছাড়া রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহে দুইজন করে ৬ জন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে নয়জন এবং বাড়িতে আটজন মারা যান।

মৃত ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে সাতজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুইজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন এক হাজার ৭৯৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭১৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৯৫৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৬২ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৮ হাজার ১৯৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *