প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছিলেন মেহেদি। পাওয়ার প্লের ভেতরে ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে উইকেট ছিল ওই একটিই। পরের ম্যাচে করেন দুই ওভারের স্পেল। ৩ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। দুবারই ব্যাটসম্যান ছিলেন অ্যালেক্স কেয়ারি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার সিরিজ জিতে নেওয়ার লক্ষ্য মাঠে নামবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় মেহেদি জানালেন, নতুন বলে বোলিং কতটা রোমাঞ্চ ছড়ায় তার মনে।
“সাদা বলের ক্রিকেটে নতুন বলে আমি বোলিং করতে পছন্দ করি। প্রথমত যেটা মাথায় থাকে, ডট বল করা। পাওয়ার প্লেতে যত রান ছাড়া বল করা যায় (তত ভালো)। কারণ, পাওয়ার প্লেতে সবাই চায় সার্কেল ব্যবহার করতে। ছয় ওভারের পর তো পাঁচ ফিল্ডার বাইরে থাকে। তাই বেশিরভাগ খেলোয়াড় ঝুঁকিটা নিতে চায় রান বড় করার জন্য।”
“পাওয়ার প্লেতে আমার লক্ষ্য থাকে যত ডট বল করা যায় এবং প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে যত সম্ভব চাপে রাখা যায়। বিশেষ করে, আমাদের এই কন্ডিশনে ব্যাপারটা তো আরও বেশি। এই ক্ষেত্রে লাইন ও লেংথ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটসম্যানকে কীভাবে তার দুর্বল জায়গায় বোলিং করব বা তাকে কীভাবে আটকাব সেটা সব সময় মাথায় থাকে। প্রতিটা বলেই মনে হয়, ডট বল দিতে হবে। এইটা সব সময় মাথায় কাজ করে।”
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। টানা দুই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ফিল্ডিংয়েরও। মেহেদি মনে করেন, আফিফ হোসেন, শামীম হোসেনের মতো তরুণদের উপস্থিতিতে ফিল্ডিংয়ে আরও মনোযোগী হয়ে উঠেছে দল।
“ফিল্ডিংটা আসলে নিজের কাছে। নিজে চাইলে ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করা যায়। আর ভেতরে ক্ষুধা থাকলে উন্নতি করা সম্ভব। শেষ কয়েকটা সিরিজ ধরে আমাদের ফিল্ডিং ভালো হচ্ছে। সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাই আছেন, যখন যে পজিশনে যে ফিল্ডারটা দরকার, উনারা সেভাবেই সেট করেন।”
“আমাদের দেশে কিন্তু এখন তরুণ ভালো ফিল্ডার আছে। আফিফ, শামীম এখন পর্যন্ত আমার দেখা বাংলাদেশে তারাই সম্ভবত সেরা ফিল্ডার। এদের দেখেও আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। এরা কীভাবে বলের কাছে কুইক যায়, এদের সামর্থ্য, এদের কাছ থেকে আমাদের শেখার অনেক কিছু আছে।”