পাঁচটি ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে দল। লড়াই যা হয়েছে, তাও একটি-দুটি ম্যাচে। কিন্তু ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল রানের মধ্যেই রয়েছেন, পাঁচ ম্যাচে করেছেন ১৮৭ রান। শেষ তিনটি ম্যাচে ৩২ (২১ বলে), ৩১ (৩১ বলে), ৩২ (৩২ বলে) রান করেছেন তিনি। একটি ম্যাচের পর তিনি নিজেই বলেছিলেন, টি২০ ম্যাচে ত্রিশের কাছাকাছি গিয়ে আউট হওয়াটা ‘পাপ’।
গতকাল এই পাপ শব্দটির আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক। জানিয়েছেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে খুশি তিনি। ‘দলে এখন পর্যন্ত আমার ভূমিকা যথেষ্ট নয়। এই টুর্নামেন্টে আমার ব্যাটিং যতটুকু করেছি, আমার মনে হয়, আমি ভালো ব্যাটিংই করেছি। শেষ তিন ম্যাচে ত্রিশ ত্রিশ করে আউট হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে অপ্রত্যাশিত। এই ইনিংসগুলো যদি ৫০-৬০ করতাম, কমপক্ষে তিনটির মধ্যে যদি একটিও করতাম, তাহলে হয়তো বা রেজাল্ট একটু অন্যরকম হতে পারত। কিন্তু সর্বোপরি ব্যাটিং নিয়ে যদি বলি, যেভাবে আমি ব্যাটিং করতে চাই এবং ব্যাটিং করছি, সেটা ঠিকই আছে। আমি বলব না যে, খুব ভালো হয়েছে, তবে একেবারে মন্দ হয়নি।’
টুর্নামেন্টের প্লে-অফে যেতে হলে বরিশালকে হাতে থাকা তিনটি ম্যাচের সব ক’টি জেতাই জরুরি। তামিমের বিশ্বাস তার দল ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। ‘আমরা কোনো সময়, হয়তোবা আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলি নাই এ টুর্নামেন্টে; কিন্তু নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতেই হবে। যখন সত্যি টিম খুব বেশি একটা ভালো খেলে না, তখন মোটিভেট করাটাও একটু কঠিন।’
ওপেনিংয়ে তামিম এখনও তার জুটি খুঁজে পাননি। কখনও মিরাজ, কখনও সাইফ, কখনও বা ইমনকে নামাতে হচ্ছে তামিমকে। কথা উঠেছে আফিফকে ওপেনিংয়ে পাঠানো নিয়েও। যদিও তামিম জানিয়েছেন, আফিফ নিজেই তিন নম্বরে নামতে চেয়েছেন। দলের বাকিদের ব্যাটিং প্রত্যাশার ধারেকাছেও যাচ্ছে না। তাই তার নিজের স্ট্রাইক রেট ওঠানামা করছে বলে জানান তামিম।
‘আমার সঙ্গে যারা খেলছে তারা কোন স্ট্রাইক রেটে খেলছে, এটাও খেয়াল রাখতে হবে। ৩০ বলে ৩০ রান করাতে আমি খারাপ কিছু দেখি না, যদি পরিস্থিতি ওরকম থাকে। স্ট্রাইক রেট বলুন, ৩০ রান বলুন- প্রশ্ন সবসময় থাকবে, আপনারা সবসময়ই প্রশ্ন তুলবেন। এতে কোনো অসুবিধাও নেই। দিনশেষে যদি আমি ৪০ বলে ৪০ করায় দল জেতে, এটা ভালো।’