গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একদমই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম পর্ব পেরিয়ে কোনোরকমে সুপার টুয়েলভে উঠেছিল।
কিন্তু সেখানে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। এরপর টি-টোয়েন্টি দলকে ঢেলে সাজানোর কথা শোনা গিয়েছিল বেশ জোরেশোরে।
কিন্তু খুব বেশি দিন লম্বা হয়নি ওই প্রক্রিয়া। দলের পারফরম্যান্সেও উন্নতি হয়নি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, রান পাননি ব্যাট হাতেও। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের পর গুঞ্জন, অধিনায়কত্ব হারাতে যাচ্ছেন তিনি।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জিম্বাবুয়ে সফরের আগেই অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন রিয়াদ। তবে তিনি এখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে দেশে ফেরেননি। আগামী ২০ জুলাই ফেরার পর নেতৃত্বের ইস্যুতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বসার কথা রয়েছে তার। এরপরই আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, বোর্ড পরিচালকদের অনেকেই এখন আর রিয়াদকে অধিনায়ক হিসেবে চাইছেন না। ব্যাট হাতে তিনি একদমই পারফর্ম করছেন না। তাই দলকে উজ্জ্বীবিত করার ক্ষমতাটাও হারিয়েছেন রিয়াদ। তিনি নেতৃত্ব ছাড়লে অধিনায়ক হিসেবে ফিরতে পারেন সাকিব আল হাসান।
ওয়ানডে সিরিজ না খেলে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েছিলেন সাকিব। সেখান থেকে শনিবার দেশে ফেরেন তিনি। ফেরার পর টেস্ট অধিনায়কের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের। সাকিব নাকি টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিতে সম্মতিও জানিয়েছেন।
২০১৯ সালে জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ হন সাকিব। এরপরই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এখন আবার সাকিবের কাছেই যেতে পারে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বের ভার।