ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীতে রোববার রাত থেকে দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস।
সকালে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ইতোমধ্যে জেলা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেল্টার ২৬টি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রয়োজন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি বহুতল ভবনগুলোও প্রস্তুত রাখা হবে। এ ছাড়া গৃহপালিত প্রাণির জন্যও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৩০০ টন চাল মজুত রয়েছে।
এ ছাড়া ২৫ লাখ নগদ অর্থ এবং ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের জন্য সরকারের কাছে চাহিদাপত্র দাখিল করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ঘূর্ণিঝড়পরবর্তী জরুরি সেবা দেওয়ার জন্য ৭২টি মেডিকেল দল গঠন করেছে। সব ধরনের নৌচলাচল ও বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে।
উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে বা সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিপিপি।
এ ছাড়া স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।