“মীর জাফরের জায়গায় খন্দকার মোশতাক, সেনাপতি ইয়ার লতিফ ও রায় দূর্লভের জায়গায় ছিলেন জিয়াউর রহমান।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ঘটনাকে পলাশীর যুদ্ধের বিশ্বাসঘাতকতার সঙ্গে তুলনা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পলাশীর মীর জাফর আলী খানের জায়গায় খন্দকার মোশতাক, সেনাপতি ইয়ার লতিফ ও রায় দূর্লভের জায়গায় জিয়াউর রহমান। বিশ্বাসঘাতকতার রক্ত ছুয়েছে ৭৫-এ।”
বিএনপির উদ্দেশে কাদের বলেন, “কেন ৭৫-এর খুনিদের পুরস্কৃত করা হল। এ প্রশ্নের জবাব বিএনপি কোনো দিনও দিতে পারবে না। খুনিদের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি অডিনেন্সকে সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করেছিল তাদের নেতা জিয়াউর রহমান।”
শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে এই আলোচনা সভা হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমি আজ একটা প্রশ্ন করব, আগস্ট এলে এ প্রশ্ন অনেকবার করেছি। জবাব পাইনি। ১৫ আগস্ট জেনারেলের জিয়া যদি জড়িত না থাকতেন, খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠানো, বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি কে দিয়েছিল? জিয়াউর রহমান।
“এদের সাথে রাজনীতিতে কর্ম সম্পর্ক কীভাবে থাকবে। মাঝে মাঝে ভাবি ৭৫ এর ঘাতকদের সাথে কীভাবে কর্ম সম্পর্ক রাখব, রাজনৈতিক অঙ্গনে। এরা কারা? এরা তাদেরই রাজনীতি করে, যাদের রাজনীতি ছিলো হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। বন্দুকের নল থেকে যাদের জন্ম। বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যের মাস্টার মাইন্ড, তারাই ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে গ্রেনেট হামলা করেছিল। কীভাবে এদের সঙ্গে রাজনীতি করব?”
ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে বঙ্গবন্ধুর নীরব রাজনৈতিক সহকর্মী উল্লেখ করে কাদের বলেন, “তিনি কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও সহকর্মী। নীরবে রাজনীতির সহযোদ্ধা।
“বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের তিন পুত্র। তাদের হত্যা করা হয়েছিল, ভবিষ্যতে রাজনীতি করবে, সেজন্যই এ হামলা। কিন্তু আমি জানতে চাই, বেগম মুজিব তো সক্রিয় রাজনীতি করেননি। এ অবলা নারী কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার। নয় বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেল কেন হত্যাকাণ্ডের শিকার। কী অপরাধ তাদের।”
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল খালেক, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী হাশেম খান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ-কমিটির সদস্য বদিউজ্জামান সোহাগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।