অনেক নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মুসলিম লিগ-এন এর নেতা শেহবাজ শরীফ।
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তিনি জাতীয় পরিষদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন।
তার নেতৃত্বেই ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিতে একাট্টা হয় বিরোধী দলগুলো এবং বিরোধীরা শেহবাজকে প্রতিশ্রুতি দেয় তাকেই প্রধানমন্ত্রী বানাবেন।
অবশেষে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হলেন শেহবাজ শরীফ।
ইমরান খান অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে জাতীয় পরিষদের সদস্যরা সংসদে আসেন। এর মধ্যে ছিলেন ইমরান খানের দলের সদস্যরাও।
সঙ্গে ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি। শেহবাজের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল কোরেশির।
কিন্তু অধিবেশন শুরু হওয়ার পর কোরেশি ঘোষণা দেন, তারা জাতীয় পরিষদ থেকে গণহারে পদত্যাগ করবেন এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশ নেবেন না। এই ঘোষণার পর পিটিআইয়ের সকল সদস্য ও কোরেশি বের হয়ে যান।
ফলে ব্নিা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
ইমরান খানের মতো জনপ্রিয় নেতাকে সরিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া এই শেহবাজ শরীফ কে? কি তার রাজনৈতিক পরিচয়?
শেহবাজ শরীফ হলেন মুসলিম লিগ-এন এর নেতা ও পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী নেতা ছিলেন।
শেহবাজ শরীফের আরেকটি পরিচয় আছে। তিনি তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের আপন ছোট ভাই।
ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর নওয়াজ শরীফ লন্ডনে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছেন।
এদিকে পাকিস্তানের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার আগে পাঞ্জাব প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী ছিলেন শেহবাজ শরীফ। তিনি পাঞ্জাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন।
শেহবাজ শরীফ সবমিলিয়ে তিনবার পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৭ সালে প্রথমবার মূখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু ১৯৯৯ সালে জেনারেল পারভেজ মোশারফ ক্ষমতা দখল করলে শেহবাজ শরীফ সৌদি আরবে পালিয়ে যান। আট বছর সৌদিতে নির্বাসিত থাকার পর ২০০৭ সালে তিনি পাকিস্তানে ফেরেন।
২০০৮ সালে তার দল জয় পেলে ফের তিনি পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী হন।
২০১৩ সালে তৃতীয়বার তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
কিন্তু ২০১৮ নির্বাচনে মুসলিম লিগ-নওয়াজ হেরে যায়। এরপরই শেহবাজ শরীফকে প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা বানানো হয়।