লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের শ্যালিকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪৮ কোটি টাকা অবৈধ লেনদেন হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে এই তথ্য বেড়িয়ে আসে।
অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, তিনটি ব্যাংকে পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামে পাঁচটি হিসাবে জমা হয় মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও অনেকের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচটি হিসাবে ওই পরিমাণ টাকা জমা করা হয়। পরে তা থেকে এরই মধ্যে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। এই অবৈধ লেনদেন পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
দুদক সূত্র জানায়, ২৬ ফেব্রুয়ারি কমিশন পাপুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থপাচার ও শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।
অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় ১৭ জুন দুদক পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয়।
এরপর গত ২২ জুন পাপুল, স্ত্রী সেলিনা, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুলাই কাজী মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও স্ত্রীর বোন জেসমিন প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে বলেন, এমপি কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তার সম্পদের ব্যাপারে দুদক জানতে চেয়েছিল, আমরা দুদকে লিখিত বক্তব্য দিয়েছি। আমাদের কোনো গোপন সম্পদ নেই। যা আছে তার বিবরণ দুদককে দিয়েছি। আমরা আইনের পক্ষে। দুদককে সব ধরনের সহযোগিতা করব।
এদিকে অবৈধ লেনদেনসহ অর্থপাচার এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পাপুল ও তার স্ত্রী এমপি সেলিনাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অনুমোদিত মামলার এজহারে পাপুল, তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকে আসামি করা হয়েছে।