মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাহেবের মুরব্বিদের সঙ্গে সরকারের কথা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কী স্বপ্ন দেখিয়েছেন, এমন প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। তাই আগামীতে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচনও শেখ হাসিনাই করবেন।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বৈঠক প্রসঙ্গে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পিটার হাস সাহেব ফখরুলকে কী স্বপ্ন দেখিয়েছে? ফখরুল সাহেব, ক্ষমতা অনেক দূরে! পিটার হাস সাহেবের মুরব্বিদের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। আমেরিকার মুরব্বি যারা তাদের সাথে কথাবার্তা শেষ। উচ্চ পর্যায়েও কথাবার্তা হয়ে গেছে। তলে তলে যখন সব শেষ, তখন আর এই সব করে লাভ কী?’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, এখন আর বিদেশিরা ওইভাবে আসে না, পাত্তাই দেয় না। দৌড়ায় যায় পিটার হাসের কাছে। ঘুম থেকে উঠেই চলে যায় পিটার হাসের কাছে। দুপুরে লাঞ্চ করতে যায় পিটার হাসের কাছে। সন্ধ্যার পর নাস্তা করতে যায় পিটার হাসের সঙ্গে। হাস সাহেব ফখরুলকে স্বপ্ন দেখিয়েছে। তবে ক্ষমতার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই ৷ ফখরুল সাহেব দিল্লী বহুদূর, ক্ষমতার পথ আপনারাই বন্ধ করে দিয়েছেন। পিটার হাস সাহেব কী করবেন? ভিসা নীতি দেবেন, নিষেধাজ্ঞা দেবেন? তার মুরব্বিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। পিটার হাসকে দেখিয়ে নির্বাচন বন্ধ করবেন? ঢাকায় তাণ্ডব করবেন। সেই খেলা খেলতে দেব না। সেই সন্ত্রাসের খেলা বিএনপিকে এবার আমরা খেলতে দেব না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের সর্বশেষ বক্তৃতা শুনে মনে হলো, তিনি এখনও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরা লাশ, আজিমপুরের গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত ৷ গোরস্তান থেকে ফখরুল এখন ওই মরা লাশ টেনে আনছেন। এই মরা লাশে মুক্তি আসবে না। আপনাকে বলি, নির্বাচন হবেই বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে এই দেশে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারবে না। শান্তিপূর্ণ হবে, নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। মির্জা ফখরুল সাহেব না আসলে আমও যাবে ছালাও যাবে, দুইটাই হারাবেন। নির্বাচনে আসেন। দুনিয়াব্যাপী আপনারা শেখ হাসিনার বদনাম করেছেন, দেশে দেশে বদনাম করেছেন। কাজে বদনাম ঘোচানোর জন্য শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন, যেই নির্বাচন হবে নজিরবিহীন৷
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর উদ্দেশে তিনি বলেন, খেলা হবে, খেলার জন্য সব প্রস্তুত হয়ে যান। সামনেই আসছে সেমিফাইনাল, তারপরে ফাইনাল। সামনে আরও দুই মাস। এখনি তোমরা বেশি ক্লান্ত হইয়ো না, সবদিক থেকে খেলা হবে। ওরা কিন্তু খেলায় ফাউল করবে। ফাউলের জবাব দিতে হবে, লাল কার্ড দেখাতে হবে। তৈরি হয়ে যান, এবার কিন্তু ছাড় নেই।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।