আন্তর্জাতিক

ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশের গণতন্ত্র স্বচ্ছ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র স্টেবল। আমাদের দেশে অত্যন্ত স্বচ্ছ একটা গণতন্ত্র আছে। এখানে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোটের মাধ্যমে। মানুষ ভোট দিচ্ছে। যে নির্বাচনে দাঁড়াতে চায় সে সুযোগ পাচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী মিয়ানমারে নির্বাচন হলো অনেকগুলো লোককে ভোট দিতে দিল না। আফগানিস্তানেও একই ঘটনা হলো। আমাদের দেশের সব লোক ভোট দিতে পারে। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সেদিক থেকে আমরা অনেক অগ্রসর।’

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাইমেট জাস্টিস অ্যান্ড পিস ইন দ্যা কনটেক্সট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় বাংলাদেশের নাম না থাকা নিয়ে সাংবাদিকরা কেন দুশ্চিন্তায় প্রশ্ন রাখেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের এত দুশ্চিন্তা কেন? একজন আমাকে উপদেশ দিবে সে অনুযায়ী আমি গণতন্ত্র হব, নো। আমার গণতন্ত্র আমাদের লোকদের ওপর।অন্যের পরামর্শে আমরা কাজ করি না। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। সেটা যেন আরও উন্নত হয় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি, আরও করে যাব। অনুষ্ঠানে গিয়ে বকবক করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ওই সেমিনার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও পররাষ্ট্র সচিব (পশ্চিম) রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমদ চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম সম্মানীয় বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক এবং ইউজিসি অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম। সেমিনারে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের পরিচিতি তুলে ধরেন ড. মো. তৌহিদুল ইসলাম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক হারুন আল রশিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *