‘নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচ দুটি আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করব’, রোববার সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ১৩ ও ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ দুটি।
সালাউদ্দিন যোগ করেন, ‘আমাদের লক্ষ্য মাঠে ফুটবল ফেরানো। নেপালকে আমরা সেজন্যই আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকায় এনেছি। এই ম্যাচ দুটি সরকারের নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজন করা হবে।’
জাতীয় দলের ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফুটবলাররা ৭-৮ মাস অনুশীলনের বাইরে ছিল। তাই দ্রুত তাদের ফিটনেস শতভাগ ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। এখনও কয়েকদিন হাতে আছে। প্রথম ম্যাচের পর বোঝা যাবে তাদের ফিটনেসের অবস্থা।’ প্রধান কোচ জেমি ডে’সহ পাঁচ বিদেশি রয়েছেন জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে। শক্তিশালী কোচিং স্টাফ দিয়ে জাতীয় দলের অনুশীলন করাচ্ছে বাফুফে।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘জাতীয় দলের অনুশীলন দেখতে কাল (শনিবার) মাঠে গিয়েছিলাম। এখন ছেলেরা যে জার্সি গায়ে অনুশীলন করে, এমন জার্সি আমরা ম্যাচেও পেতাম না। আমাদের সময় অনুশীলনের জন্য মাত্র দুটি বল থাকত। একটি দিয়ে অনুশীলন হতো। আরেকটি দিয়ে অনুশীলন ম্যাচ খেলতাম।’ সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেয়ার বিপরীতে সাফল্য চাইলেন বাফুফে সভাপতি।
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজনের ইচ্ছা থাকলেও কোভিড-১৯ এর কারণে সম্ভব হয়নি বলে আফসোস সালাউদ্দিনের। তার কথায়, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে আমাদের অনেক কিছু করার পরিকল্পনা ছিল। চার-পাঁচটা আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম করতে চেয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আয়োজনের। কিন্তু কোভিড-১৯ এর কারণে তা সম্ভব হয়নি।’
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের স্মৃতি রোমন্থন করে বাফুফে প্রধান বলেন, ‘ফুটবলাররা শুধু বঙ্গবন্ধুর ডাকে সরাসরি যুদ্ধে গেছেন। আমরা করোনাকে হার মানিয়ে মুজিব শতবর্ষ উদযাপন করব। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের সব নিয়ম মেনে ফিফা থেকে অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশ-নেপালের ম্যাচ আয়োজন করছি। আশা করি, সাফল্যের সঙ্গে শেষ করতে পারব।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি কাজি নাবিল আহমেদ ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহি।