জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে রায় হাইকোর্টের

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিষয়টি নিয়ে ইতোপূর্বে জারি করা রুলের ওপর শুনানি নিয়ে আজ এই  রায় দেন।

রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি বাসসকে জানান। তিনি বলেন, রায়ে আদালত বলেন, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করবে।

তিনি বলেন, ইতোপূর্বে দেয়া আদেশ অনুযায়ী রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে আগের আদেশ বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেয়া হয়।

প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তভুক্তির জন্য কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে আদালত। ওইদিন ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করে হাইকোর্ট। আদালত মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের নির্দেশ দেয়।

এর আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণের আঙ্গুল উঁচানোর ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য একটি কমিটি করতে বলে আদালত।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

ড. বশির আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আজকের এই রায় যুগান্তকারী ও মাইলফলক। এর ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *