জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর: দুই ছাত্র ৫ দিন ও শিক্ষক ৪ দিনের রিমান্ডে

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার দুই ছাত্রের পাঁচ দিন ও দুই শিক্ষকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল হকের আদালত শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ সময় বিচারক গ্রেফতার কুষ্টিয়ার জুগিয়া এলাকার মাদ্রাসা ইবনে মাসউদের (রা.) হেফজ বিভাগের ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদের (২০) পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন; একইসঙ্গে ওই মাদরাসার দুই শিক্ষক মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আল আমিন (২৭) এবং পাবনার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে ইউসুফ আলী (২৭)। চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেছি। দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ১০ দিন এবং দুই শিক্ষকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।

আদালত শুনানি শেষে দুই ছাত্রের পাঁচ দিন ও দুই শিক্ষকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে সোমবার চার আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ।
আদালত আজ শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সোমবার মানববন্ধন, সভা-সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এদিকে কুষ্টিয়ায় ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্যের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।

গত শুক্রবার গভীর রাতে দুই ছাত্র বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুজেট দেখে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

এদিকে ভেঙে ফেলা ভাস্কর্যের সংস্কারকাজ আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার আশ্বাস দিয়েছে কুষ্টিয়া পৌরসভা।

সোমবার সকাল থেকে ভাস্কর্যটি সংস্কারকাজ শুরু করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। স্বনামধন্য ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম পাঁচ রাস্তার মোড়ে ভাস্কর্য নির্মাণকাজ করছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডান হাতসহ মুখমণ্ডলের অংশটি পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি নকশার কোনো পরিবর্তন যাতে না হয় সে বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *