মন্ত্রিসভা দেশের শতবর্ষ-পুরনো প্যাটেন্ট আইন সময় উপযোগী করার লক্ষ্যে আজ ‘বাংলাদেশ প্যাটেন্ট বিল, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আইনে কোন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের একক বা যৌথ উদ্ভাবকের পক্ষে প্যাটেন্ট ইস্যু ও বাতিল করতে একটি প্যাটেন্ট রেজিস্ট্রার অফিস স্থাপন করা হবে।
গণমাধ্যমের জন্য ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, কোন উদ্ভাবনের জন্য উদ্ভাবক আবেদনের ওপর ভিত্তি করে ২০ বছর মেয়াদের জন্য প্যাটেন্ট পাবেন এবং তারপর সেটি জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় মন্ত্রিসভা বৈঠকে খসড়া বিলটি উত্থাপন করে। এই খসড়া আইন অনুযায়ী বিশেষত সাধারণ অধিকার ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলাগুলো দেওয়ানী বিষয় হিসেবে দেখা হবে এবং দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ারভুক্ত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু, প্রতারণা ও অনুরূপ অপরাধসমূহ দ-বিধি অনুযায়ী বিচার করা হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কেউ প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন ধারা প্রতিপালন করতে ব্যর্থ হয়, তবে ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
মন্ত্রিসভায় কোন শিল্প ডিজাইন সংক্রান্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রি-ডিজাইন বিল, ২০২১-এরও খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শতাব্দি-পুরনো আইনে নানা ধরনের অসংখ্য বিষয় থাকায়, প্যাটেন্টস অ্যান্ড ডিজাইনস অ্যাক্ট, ১৯১১ -কে দুটি আইন- প্যাটেন্ট ল’ এবং ইন্ডাস্ট্রি ডিজাইন ল’-তে বিভাজন করে দুটি আইন প্রণয়ন করতে সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
একই প্যাটেন্ট রেজিস্ট্রার অফিস প্রস্তাবিত দুটি আইনের জন্যই প্রশাসনিক অফিস হিসেবে কাজ করবে।
মন্ত্রিসভা ন্যাশনাল আর্কাইভ অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৩ সময়োপযোগী করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্কাইভ বিল, ২০২১-এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়াও, সভায় ইন্টারন্যাশনাল ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট (আইভিআই) প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে চুক্তির অনুসমর্থনের প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সংক্রান্ত প্রস্তাবিত চুক্তির খসড়ারও অনুমোদন দেয়া হয়।
এছাড়া, সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর এবং ন্যাশনাল মিউজিয়াম, নয়াদিল্লী, ভারতের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়টি অবহিত করা হয়।