নিস্তরঙ্গ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে হঠাৎ খানিকটা আলোড়ন। স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এলেন রাজস্থ্যান রয়্যালসের কয়েকজন কর্মকর্তা। মূল মাঠ, একাডেমি মাঠসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ঘুরে দেখলেন তারা। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চেয়ারম্যান রঞ্জিত বারঠাকুর পরে জানালেন, বাংলাদেশে একটি একাডেমি করার ভাবনা আছে তাদের।
রঞ্জিত বারঠাকুর ভারতের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, রাজস্থ্যান রয়্যালসের সত্বাধিকারী কোম্পানি রয়্যাল মাল্টিস্পোর্ট প্রাইভেট লিমিটেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গেও যে তার সম্পর্ক পুরনো, স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সবার আগে তিনি জানালেন সেটিই।
“আমি সবসময়ই বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাশে থেকেছি। আশরাফুলের সময় (ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল হক), ১৯৮৭ সালে এখানে এসেছিলাম। এখানে প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ছিল এশিয়া কাপ, আমি উইলস-এ ছিলাম, টুর্নামেন্টের স্পন্সর ছিলাম (১৯৮৮ উইলস এশিয়া কাপ)। এখানে ফিরতে পেরে আমি খুবই খুশি।”
তবে পুরনো সম্পর্কের টানেই তো শুধু এবার এখানে আসা নয়, এই সফরের কারণও তিনি খোলাসা করলেন।
“এবার আমি এসেছি স্টেডিয়াম দেখতে যে, কীভাবে আমরা বাংলাদেশের জেলাগুলির সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। কীভাবে ক্রিকেটে কোনো বিনিময় কর্মসূচী নিতে পারি।”
“আরেকটি ব্যাপার, শুরু থেকেই রাজস্থ্যান রয়্যালসের চেয়ারম্যান হওয়ার সোভাগ্য হয়েছে আমার। আমরা এবার মুস্তাফিজকে নিয়েছি (আইপিএলের নিলামে)। আশা করি, সে খেলবে আমাদের হয়ে। অবশ্যই তার কাছে দেশের দায়িত্ব আগে, তারপর রাজস্থান। দেখা যাক…আশা করি, সে দেশের হয়ে সুযোগ পাবে। না পেলে আমরা সবসময় তার পাশে আছি।”
রঞ্জিত বারঠাকুর জানালেন, কলকাতা ও চেন্নাইয়ের পরই রাজস্থানের সবচেয়ে বেশি সমর্থক বাংলাদেশে। এখানে ও উত্তর-পূর্ব ভারতে সমর্থকগোষ্ঠী আরও বাড়াতে তৃণমুলের ক্রিকেট নিয়ে তারা কাজ করতে চান বলেও জানালেন। সেই পরিক্রমায়ই জানালেন একাডেমি গড়ার আগ্রহের কথা।
“আমি ভাবছি, এখানে একাডেমি করব। রয়্যাল একাডেমি। এখনও চূড়ান্ত হয়নি, ভাবনা আছে। এবার এখানে এসে আমার মনে হয়েছে, পুরো আইপিএল এটা অনুভব করবে।”