বিশ্বকাপে বাংলাদেশ এসেছিল কম প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু সুপার এইটের প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে তারা।
তাদের সুপার এইট এখন অনেকটাই নিশ্চিত। শুধু শেষ ম্যাচে নেপালকে হারালেই চলবে। হারলেও সেটি হতে হবে অল্প ব্যবধানের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে অবিশ্বাস্য লড়াই করেছে নেপাল। তারা ম্যাচ হেরেছে স্রেফ ১ রানে। বাংলাদেশের জন্যও তাই আছে ভয়ের কারণ। যদিও নেপাল এখন অবধি কখনো হারাতে পারেনি টেস্ট খেলুড়ে দেশকে। কাল কি বাংলাদেশের সুপার এইটে উঠার স্বপ্ন ভেস্তে দেবে তারা?
উত্তরে দলটির কোচ মন্টি দেশাই বলেন, ‘আমরা আমাদের গল্প তৈরি করছি। কারো পার্টি ভেস্তে দেওয়ার ব্যাপারে তাই ভাবছি না। কিন্তু ড্রেসিংরুমে বার্তা দেওয়া হয়েছে- আমরা একটা কল্পনার জগতে বাস করছি, যার সীমা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অতিক্রম করেছি। আমাদের তিন পয়েন্ট আছে, আর আমরা সুপার এইটের জন্য লড়ছি (এমন যেন ভাবে সবাই)। ’
‘যদি আগামীকাল ও মানসিকতাটা রাখতে পারি। আর লড়াই, শেষ অবধি লড়াই করতে পারি, সীমাটা অতিক্রম করতে পারি, তাহলে গর্ব নিয়ে ফিরে যেতে পারবো। এরপর হয়তো অন্য ম্যাচের যদি-কিন্তু নিয়ে ভাববো। কিন্তু হ্যাঁ, আমরা নিজেদের মেলে ধরতে চাই। ’
নেপালের বিপক্ষে ৭ উইকেট হারিয়ে কেবল ১১৫ রান করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটির স্পিনারদের সামলানো বেশ মুশকিল ছিল প্রোটিয়া ব্যাটারদের জন্য। বাংলাদেশের বিপক্ষেও কি তেমন কিছু হবে? নেপালের কোচ বলছেন, ভারসম্য থাকবে তাদের বোলিং। প্রত্যাশা জানিয়েছেন ব্যাটারদের কাছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন ভারসম্য রাখার চেষ্টা করছি পেসার ও স্পিনারদের মধ্যে। আমরা এখন অবধি দেখেছি স্পিন এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, ক্যারিবীয়ানে আমার অতীত অভিজ্ঞতাও একই। কিন্তু আমাদের দলে ভারসম্য আছে। কাল উইকেট ও কন্ডিশনে যা দেখাবে, ওই অনুযায়ীই আমরা নিজেদের চ্যালেঞ্জ দেখাবো। ’
‘আমি যেটার দিকে খুব বেশি তাকিয়ে আছি তা হচ্ছে আমাদের ব্যাটাররা যেন আরেকটু সাহস দেখায়, চ্যালেঞ্জ নেয় ও লড়াই করে। আমি জানি নেটে অনেক বেশি দেখেছি আপনারা মাঠে যা দেখেছেন তার চেয়ে। আমি সত্যিই চাইবো তারা যেন সেটা কাল মাঠে দেখায়। ’