দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দারুণ সুযোগ পেয়েও জয় হাতছাড়া করেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে অবশ্য সেই সুযোগ দেয়নি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। রাবেয়া খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর শামিমার অসাধারণ এক ইনিংসের সৌজন্যে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ।
নিজেদের মাঠে যেকোনো সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি তৃতীয় জয়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে ১০৩ রানের লক্ষ্য দেয় ভারতের মেয়েরা। রাবেয়া ও সুলতানা খাতুনের ঘূর্ণি জাদুতে আগে ব্যাটিং করে সুবিধা করতে পারেননি সফরকারী ব্যাটাররা।
শামিমার ৪১ রানের ইনিংসের কল্যাণে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য তাড়া করে জয় পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ১৬ রানেই টপ অর্ডারের দুই উইকেট হারায় তারা। সাথি ১০ ও দিলারা আক্তারকে ১ রানে ফেরান স্পিনার মিন্নু মানি। তৃতীয় উইকেটে জ্যোতি ও শামিমা ৪৬ রানের জুটিতে দলের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন।
দলের ৬২ রানে জ্যোতিকে ফিরিয়ে ব্রেক-থ্রু এনে দেন দেবিকা বৈদ্য। ১৪ রান আসে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকে। এরপর সুলতানা খাতুনের ১২ ও নাহিদা আক্তারের ১০ রানের কল্যাণে লক্ষ্য ১৮.২ ওভারে ১০৩ রান তুলে বাংলাদেশ।
এর আগে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২০ ওভারে ১০২ রান করে তারা। ২০ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। স্মৃতি মান্ধানাকে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন সুলতানা। ১ রান আসে স্মৃতির ব্যাট থেকে। চতুর্থ ওভারে আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মাকেও ১১ রানে ফেরান অফ স্পিনার সুলতানা।
তবে তৃতীয় উইকেটে হরমনপ্রীত কৌর ও জেমিমাহ রদ্রিগেজ ৪৫ রানের জুটি গড়ে সেই চাপ সামলে নেন। ২৮ রানে জেমিমাহকে আউট করে ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্বর্ণা আক্তার। ভারতের ৯১ রানে হরমনপ্রীতকে ফেরান ফাহিমা খাতুন। ৪১ বলে ৪০ রানে সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছেন ভারতের অধিনায়ক।
১৬.২ ওভারে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। এরপর ১১ রান তুলতেই বাকি ৫ উইকেট হারায় তারা। ৯ উইকেটে ১০২ রানের সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সুলতানা ২টি ও লেগ স্পিনার রাবেয়া ৩টি উইকেট শিকার করেছেন।