তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংসদ বিলুপ্ত করার দাবির মধ্য দিয়ে বিএনপি আসলে দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায়। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার হীনউদ্দেশ্যে বিএনপি এ দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) সম্মেলন কক্ষে ‘গন্তব্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক দফা আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নতুন কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা মাঝে-মধ্যেই এমন কর্মসূচি দেয়। গত বছর একবার একদফা ঘোষণা করে বলেছিল যে খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে এসে সভায় যোগ দেবেন। তারেক রহমান উড়ে এসে সভায় বক্তব্য রাখবেন। কিভাবে উড়ে আসবে, সেই ব্যাখ্যা দেয়নি। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, সম্ভবত বোরাকে করে আসবেন। কিন্তু সেই আন্দোলন গরুর হাটে মারা গেছে।
তিনি বলেন, আবার খালেদা জিয়াকে মাঝেমধ্যে খুব অসুস্থ বানিয়ে সংকটাপন্ন বলে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। সেগুলো হালে পানি পায়নি। বুধবার তারা পুরোনো কথাই নতুন করে বলেছেন।
তিনি বলেন, তবে একটি জিনিস অবশ্যই প্রণিধানযোগ্য। সেটি হচ্ছে, তারা (বিএনপি) যে দাবি দিয়েছে সেখানে সংসদ বিলুপ্ত করার কথা বলেছে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী সংসদ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সংসদ বহাল থাকে। সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দুরভিসন্ধিমূলক। বিরোধীরা বিভিন্ন সময় সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি করে। সেটা তারা করতেই পারে। সেই অধিকার তাদের আছে।
বিএনপির ৩১ দফায় বলেছে যে, পরপর দুই মেয়াদের অতিরিক্ত কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা নানা সময় নানা দফা দেয়। কোনো সময় ৩১ দফা, কোনো সময় ৩২ দফা, এভাবে নানা দফা দেয়। এ বিষয়ে তাদের মত কী তারা আগে ব্যাখ্যা করুক। তারপর আমরা মত দেব।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে কিনা– এই প্রশ্নে তিনি বলেন, তাদের এ সফর আমাদের উন্নয়ন ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে সহায়ক। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সহায়ক। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের আগমন নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। মার্কিন প্রতিনিধি দলের আগমন আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।