সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ দশ দফা বাস্তবায়নে যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম দিন কাল (শনিবার)। ঢাকা ও রংপুর ছাড়া দেশের বাকি জেলা ও মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি। একইভাবে সারা দেশে যুগপৎ কর্মসূচি করবে জামায়াতে ইসলামীও।
তবে ঢাকায় শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন এবং ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হওয়ায় ঢাকা জেলা ও মহানগর এবং রংপুর জেলা ও মহানগরের কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশ থেকে দশ দফা তুলে ধরে গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এই কর্মসূচিকে সমর্থন করে জামায়াতসহ ডান, বাম ও মধ্যপন্থি ৩৩ রাজনৈতিক দল।
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফার পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ গ্রেফতার নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা ও রংপুর ছাড়া সব জেলা ও মহানগরে গণমিছিল হবে।’
বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদে বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে গণমিছিল সফল করার আহ্বান জানান প্রিন্স।
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ জানান, ‘শনিবার সারা দেশে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে গণমিছিল হবে। শুধু ঢাকা মহানগরীতে গণমিছিলের কর্মসূচি ৩০ ডিসেম্বর পালিত হবে। ঘোষিত এই নতুন কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।’
বিএনপির ১৯ সিনিয়র নেতা কে কোথায় থাকবেন: এদিকে কর্মসূচি সফল করতে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ ১৯ সিনিয়র নেতাকে বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে কর্মসূচি সফল করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্য জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলার কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের কর্মসূচি সফল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। রংপুর ও ঢাকা ছাড়া একযোগে ৭৭টি সাংগঠনিক জেলায় গণমিছিল করবে বিএনপি।
চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রাজশাহী মহানগর ও জেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। খুলনা মহানগর ও জেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সিলেট মহানগর ও জেলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। কুমিল্লা মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গাজীপুর মহানগর ও জেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সিলেট মহানগর ও জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। কিশোরগঞ্জ জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। নোয়াখালী জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
সুনামগঞ্জ জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন। ফরিদপুর মহানগর ও জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী।
বগুড়ায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। দিনাজপুরে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। চাঁদপুর জেলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক। ভোলা জেলায় যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সরোয়ার। যশোরে যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও রাজবাড়ীতে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী-খান সোহেল।