খুলনায় বিএনপির কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরপরই চালু হয়েছে গণপরিবহণ। খুলনা থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। গণপরিবহণ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুপুরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
অন্যদিকে বিকাল থেকে ট্রলার ও লঞ্চ চলাচলও শুরু হয়েছে। এতে শ্রমিকদের অঘোষিত দুই দিনের ধর্মঘট শেষ হলো।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, এ ধর্মঘটের বিষয়টি ছিল মালিকদের। সেই ধর্মঘটে শ্রমিকরা সংহতি প্রকাশ করেন। মালিকরা আবার বাস চালানোর অনুমতি দেওয়ায় সড়কপথে গণপরিবহণ চালু হয়েছে। বিকালের পর থেকে চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে আমরা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছিলাম। শুক্রবার রাতে মালিক-শ্রমিক পক্ষের বৈঠকে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে শনিবার সকাল থেকে লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। তবে সকালে যাত্রী না থাকায় দুটি লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চারটি লঞ্চ বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির গণসমাবেশের জন্যই ধর্মঘটের দৃশ্য সামনে আনা হয়। বিএনপির সমাবেশ শেষ, তাই নৌ-সড়কপথ সচল হয়েছে। এটা সাধারণ মানুষের বুঝতে বাকি নেই যে, কেন এ ধর্মঘট নাটক করা হয়েছিল। তবে কোনো বাধাই বিএনপির সমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। সমাবেশে জনস্রোতই তার প্রমাণ।
রূপসা ঘাট মাঝি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ ব্যাপারী বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মাঝি সমিতি, পরিবহণ সংশ্লিষ্টদের বৈঠক হয়। বৈঠকে আমাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলে সন্ধ্যা থেকে রূপসা ঘাট থেকে নৌকা, ট্রলার চলাচল শুরু হয়। এখন যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।