দেশের বাইরে সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে হারারে টেস্টে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে প্রথমবার জিম্বাবুয়ের মাটিতে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয় এটি। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ৪৭৭ রানের টার্গেটে জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে যায় ২৫৬ রানে।
হারারেতে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৬৮ রান তোলে বাংলাদেশ। রিয়াদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সাথে লিটন দাসের ৯৫, তাসকিন আহমেদের ৭৫ ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৭০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৬৮ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে অলআউট হয় ২৭৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১ উইকেটে ২৮৪ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে। দলের পক্ষে শতক হাঁকান সাদমান ইসলাম (১১৫*) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১১৭)। এতে জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭৭।
যদিও দ্বিতীয় সেশনে ডোনাল্ড টিরিপানো ও ব্লেসিং মুজারাবানির গড়া প্রতিরোধ ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম সেশনের পারফরম্যান্সে দুইশর নিচে জিম্বাবুয়েকে অলআউটের সম্ভাবনা জাগিয়েও টাইগারদের লড়তে হয়েছে দ্বিতীয় সেশনের ‘অতিরিক্ত সময়’ পর্যন্ত। টিরিপানো ১৪৪ বলে ৫২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ৫১ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মুজারাবানি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে তাসকিনের সাথে তার মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ দৃশ্যমান হয়েছে বারবার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ৪৬৮/১০ (১২৬ ওভার)
রিয়াদ ১৫০*, লিটন ৯৫, তাসকিন ৭৫, মুমিনুল ৭০
মুজারাবানি ৯৪/৪, তিরিপানো ৫৮/২
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ২৭৬/১০ (১১১.৫ ওভার)
কাইতানো ৮৭, টেলর ৮১, শুম্বা ৪১
মিরাজ ৮২/৫, সাকিব ৮২/৪
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস : ২৮৪/১ ডিক্লেয়ার (৬৭.৪ ওভার)
শান্ত ১১৭*, সাদমান ১১৫*, সাইফ ৪৩;
এনগারাভা ১/৩৬
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস : ২৫৬/১০ (৯৪.৪ ওভার)
টেলর ৯২, টিরিপানো ৫২, মুজারাবানি ৩০*, মায়ার্স ২৬,
মিরাজ ৬৬/৪, তাসকিন ৮২/৪
ফল : বাংলাদেশ ২২০ রানে জয়ী।