জি-২০ জোটের প্রধান এজেন্ডা ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা’। বিশ্বব্যাপী জিডিপির প্রায় ৮৫ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে এই ফোরাম। আর বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ অংশের নিয়ন্ত্রণে আছে এই জোট। জি-২০ সদস্য দেশগুলোতে আছে বিশ্বের সমগ্র জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাতে এএনআইয়ের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জি-২০ দেশগুলোর মধ্যে ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে ১২৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বাণিজ্য ও ২৭.৭ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার হলো চীন। চীনের সঙ্গে মোট পণ্য বাণিজ্য ১১৩.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার। সৌদি আরবের সঙ্গে ভারতের ৪৯.৯ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে রয়েছে ৪৯.৪ বিলিয়ন ডলারের।
জি-২০’র একমাত্র আঞ্চলিক গোষ্ঠী ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতের পণ্য বাণিজ্য রয়েছে ১৩৫.৯ বিলিয়ন ডলারের। বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৩.৮ বিলিয়ন ডলারের। জি-২০ জোটের সদস্য দেশগুলোতে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৪.৯ বিলিয়নেরও বেশি। যাদের গড় আয়ু ৭৮ বছর। আর বর্তমান গড় বয়স ৩৯ বছর।
বিশ্ব জনসংখ্যা পর্যালোচনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের ১৭.৮৫ শতাংশ বাস করে ভারতে। চীনে ১৭.৮১ শতাংশ। শুধ দুই দেশের জনসংখ্যাই বিশ্বের সম্পূর্ণ জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৪.২৫ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ায় তা ৩.৪৭ শতাংশ। জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম জনবহুল দেশ অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব জনসংখ্যার মাত্র ০.৩৩ শতাংশ রয়েছে দেশটিতে।