বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে নির্বাচন না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিসিবি বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিষয়টি জানিয়েছেন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগামী মাসেই শেষ হতে চলেছে বর্তমান কমিটির মেয়াদ। এরপরই নির্বাচন। আবারও কি সভাপতি পদে দেখা যাবে যাবে পাপনকে।
তার জবাব, ‘১ বা দুই তারিখ বোর্ড মিটিংয়ে। নির্বাচন নিয়ে একটু ভিন্নতা পাবেন আপনারা। এটাতে সন্দেহ নেই। এবারের নিবার্চনটা অন্যগুলোর তুলনায় আলাদা হবে।’
বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, চিকিৎসক ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট চাপ থেকে দূরে থাকতে বলেছেন তাকে।‘ক্রিকেটকে অনেক সময় দিতে হয়। জালাল ভাই (পরিচালক জালাল ইউনুস) ভাই নিউজিল্যান্ড ও ববি ভাই (পরিচালক সাজ্জাদুল আলম ববি) জিম্বাবুয়ে সফর করেছেন তারা বলতে পারবেন।’ চাপের বিষয়টি ইঙ্গিত দিয়ে পাপন বোঝাতে চেয়েছেন, ‘ভোর থেকে খেলা দেখা, সারারাত জেগে থাকা। ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলা।’ চিকিৎসকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘হার আমি মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশ হারলে আমার মেজাজ খারাপ থাকে। আমার বউ-বাচ্চাও সামনে আসে না। ডাক্তার বলেছেন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে। বোর্ডে থাকলেও যাতে এসব না করি’
সবশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেসময়ও জানিয়েছিলেন সভাপতি হতে তার আগ্রহ নেই। যদিও শেষ পর্যন্ত অবশ্য সভাপতি হন তিনি।
এদিন পাপন যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তখন পাশে থাকা ক্রিকেট বোর্ডের অপর পরিচালক আজম নাছির বলছিলেন, ‘পাপন সাহেব থাকবেন, পাপন সাহেব থাকবেন।’