বিনোদন

বোট ক্লাবে ১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট কী করেছিলেন পরীমণি ?

চিত্রনায়িকা পরীমণি সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে এক ঘণ্টা ৩৭ মিনিট অবস্থান করেছিলেন। তার দায়েরকৃত মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টরা একাধিক সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ক্লাবে ওই রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ জানতে পেয়েছেন। যার সঙ্গে এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগের সত্যতা পাচ্ছে না পুলিশ। পরীমণি বোট ক্লাবে ৮ জুন রাত ১২টা ২২ মিনিটে প্রবেশ করেন এবং ১টা ৫৯ মিনিটে জিমি তাকে পাঁজাকোলে করে বের করেন।

এই সময়ের মধ্যে তাকে জোর করে মদ পান করানোর কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। বরং আড্ডা জমিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার জিমি ও বোন বনির সঙ্গে মদ পানের ব্যাপারে তথ্য পেয়েছে ক্লাবের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ থেকে। ওই সময় তুহিন সিদ্দিকী অমিও তাদের সঙ্গে আসরে বসেছিলেন। মামলার তদন্তের প্রয়োজনে বোট ক্লাবে ১ ঘণ্টা ৩৭ মিনিট ধরে পরীমণি কী করেছিলেন-তা তদন্ত করছে পুলিশ।

তদন্তের জন্য নাসির উদ্দিন আহমেদ ও তুহিন সিদ্দিক অমিকে বুধবার ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসান শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কামরুল ইসলাম তাদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে মাদক আইনে দায়েরকৃত মামলায় তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, নাসির ও অমিকে আটকের সময় উদ্ধার করা হয় মাদকদ্রব্য। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা তদন্ত করছে ডিবি। বুধবার তাদের রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়েছে। মাদক মামলার তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। পরীমণি মামলায় সাভার মডেল থানা পুলিশ নাসির ও অমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।

সাভার মডেল থানায় দায়ের করা পরীমণি মামলার তদারক কর্মকর্তা ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, মামলার দুই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজনে তারা বাদির সঙ্গেও কথা বলবেন। এ পর্যন্ত তদন্তে অগ্রগতি রয়েছে বলেও জানান তিনি। কিছু তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

গত ৮ জুন মধ্য রাতে বিরুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয় বলে চিত্রনায়িকা পরীমণি অভিযোগ করেন। ঘটনার চার দিন পর ১৩ জুন রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এবং রাত ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনা প্রকাশ করেন নায়িকা পরীমণি। পরদিন ১৪ জুন সকালে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি।

ওইদিন বিকালে উত্তরা থেকে নাসির ও অমিসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। এরপর ডিবির গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় গত ১৫ জুন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি নাসির ও অমির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই মামলায় রিমান্ড শেষে গতকাল পরীমণির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নতুন করে আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *