মহামারির মধ্যে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা বা সশস্ত্র বাহিনীর প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গায় থেকে সাহসী ভূমিকা রাখায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর এবং ‘এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান, ২০২১’ এ অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় পুরনো নেতিবাচক মনোভাব বদলে আরও বেশি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করায় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন সরকারে এসেছি বাংলাদেশের মানুষের জন্য সেবক হিসেবে কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রিত্ব আমার জন্য কোনো কিছু নয়, শুধু একটা সুযোগ মানুষের জন্য কাজ করার, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করার এবং যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।’
‘সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল’ এমন মনোভাব এখন সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে তেমনটা নেই জানিয়ে তাদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজটাকে নিজের বলে গ্রহণ করছেন। আপনার দায়িত্বটা আপনি নিজে গ্রহণ করছেন এবং সেটা আপনি বাস্তবায়ন করার জন্য আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। আসলে এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কাজ, আমি মনে করি।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে এই সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাকালে তার সরকারের লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষ যাতে কোনো রকম কষ্ট না পায়। তাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা অর্থাৎ তাদের করোনা থেকেও যেমন মুক্তি দেওয়া, তেমনি আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করা। যে কারণে প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকার ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ সরকার ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের এ কাজে সহায়তা করায় সব মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সচিবদের তিনি ধন্যবাদ জানান।