নাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা ১১ বছরের শিশু মা হয়েছে। নবজাতক ও তার মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায়।
রোববার দুপুর ১টার দিকে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নবজাতককে কোলে নিয়ে ওই মায়ের পাশে বসে তার শারীরিক খোঁজ খবর নেন।
প্রতিবেশী দাদার লালশার শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয় ১১ বছর বয়সি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ওই শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত ধর্ষক জাহিদুল খাঁ (৪৫) নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামের কালু খাঁর ছেলে।
গুরুদাসপুরে ১১ বছর বয়সি এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণে গর্ভবতী হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন তার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশন ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার দুপুরে ওই শিশু মা একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দেয়।
রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্রাবণী রায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নবজাতককে কোলে নিয়ে তার নাম রাখেন ‘আলো’। এরপর নতুন পোশাক, খাবার ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। এ সময় ওই শিশু মায়ের দাদি ও চাচি উপস্থিত ছিলেন।
ওই ধর্ষিতার দাদি বলেন, ইউএনও স্যার হাসপাতালে এসে মা ও সন্তানের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি আবেগাপ্লুত। তিনি ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় বলেন, মা ও নবজাতক সন্তান নিষ্পাপ এদের কোনো দোষ নেই। যে বা যারা ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, আইনের মাধ্যমে তাদের বিচার শুরু হয়েছে। মা ও সন্তানকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সাহায্য সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এরপর গত ১৮ জুন তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগীর দাদি। ১০ মাস পর ২৫ আগস্ট রাতে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৫ এবং র্যাব-১০ যৌথ বাহিনী। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে আছেন।