“মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে যেসব ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে তারা।”
মানবাধিকার বিষয়ে দ্রুত ভালো খবর পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ে নিজ বাসভবনে অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি নিয়ে আলোচনার মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানালেন।
গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী, বিশেষ করে র্যাবের অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানায়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওই বিবৃতিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারাও চায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক যাতে আরও সুদৃঢ় হয়। বাংলাদেশও সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে যেসব ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে তারা। দ্রুতই ভালো কোনো খবর পাবে বাংলাদেশ। কিছু সংস্থা ভুলভাল তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের বিভ্রান্ত করছে, তবে তারা খোঁজ নিলেই সত্যটা জানতে পারবেন।”
অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তাই সবাই বাংলাদেশকে ইজ্জত দিচ্ছে। সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন দেশ ঘন ঘন বাংলাদেশ সফর করছে। পৃথিবীর মধ্যে ২৭টি উন্নত দেশের মধ্যে আমরা উঁচু, আমরা এখন উন্নতির দিকে আছি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছি।”
আমেরিকা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় উল্লেখ করে মোমেন বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে আগ্রহী। তাই যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ঘন ঘন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।”
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী সবার সঙ্গে ব্যালেন্স কর চলে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে আমেরিকাসহ যারা কথা বলছেন, তারা বাংলাদেশকে তাদের লেজুড় হিসেবে চায়; কিন্তু কারো লেজুড় নয়, ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতি রক্ষা করে বাংলাদেশ। চীন, ভারত, আমেরিকা সবার সাথেই বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জন্য সুখবর হচ্ছে আমাদের গোপন কিছু নেই। সবই ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার। আমাদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে একটি মডেল নির্বাচন।”