আন্তর্জাতিক

মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিলেন দুই লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মী

মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিলেন দুই লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মী। আরও প্রায় ২ লাখ ৬৮ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। শুক্রবার মাই মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মে. গোলাম সারোয়ার।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ হাইকমিশন ৪ লাখ ২৩ হাজার কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ৭৬৩টি সত্যায়ন আবেদনের বিপরীতে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫৬৯ জন কর্মীর চাহিদাপত্র সত্যায়ন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের সব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগের বিষয়ে চার বছর পূর্বে জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। পরবর্তীতে গত বছরের ২ জুন ঢাকায় অনুষ্ঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর দুই দেশের সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো প্রয়োজনীয় নেটওয়ার্কিং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপনপূর্বক ২০২২ সালের আগস্ট থেকে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশি নতুন কর্মী নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার গতি কিছুটা কম থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকেই পুরোদমে কর্মী যাচ্ছেন দেশটিতে।

এদিকে ছয়টি খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২২টি কর্মসংস্থান কোটা অনুমোদন করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে উৎপাদন খাতে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০৬টি, নির্মাণ খাতে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৯টি, সেবা খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৯০টি, আবাদে ৮৫ হাজার ৬৭৮টি, কৃষিতে ৪৯ হাজার ৪৭৩টি এবং খনি ও খনন খাতে ৩৭৬টি কোটা অনুমোদন করা হয়েছে।

মোট কোটার মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯০টি বা ৪১ শতাংশ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়। গত ১৬ জুন দেওয়ান রাকায়াতের (জাতীয় সংসদ) প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য লিম লিপ ইঞ্জির (পিএইচ-কেপং) এক প্রশ্নের জবাবে মালয়েশীয় মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমার এসব তথ্য জানান।

শিবকুমার বলেন, নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের প্রবেশ প্রক্রিয়ার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দেশের স্বার্থ ও খ্যাতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে শ্রমের মানদণ্ড মেনে চলার দিকেও নজর রাখছে মালয়েশিয়া সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *