মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকালে দুই জনের প্রাণহানির ঘটনায় রোববার জাতিসংঘ নতুন করে দেশটির সামরিক জান্তার নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে জান্তা বিরোধী বিক্ষোভের প্রথম বলি তরুনীটির অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে শোকার্ত মানুষের দল।
বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচির মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের কৌশল আরো বিস্তৃত করছে।
গত দ’ুসপ্তাহ ধরে দেশটিতে যে বিক্ষোভ চলছে তা মারাত্মক রূপ নেয় শনিবার। ওইদিন মান্দালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর গুলি চালায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস রোববার মারাত্মক এ সহিসংতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিুরদ্ধে প্রাণঘাতি শক্তি প্রয়োগ, দমন ও নিপীড়ন অগ্রহণযোগ্য।
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ও সাংস্কৃতিক রাজধানী মান্দালয়ে একটি শিপইয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে বন্দর শ্রমিকদের আটককালে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে।
উদ্ধাকর্মীরা জানিয়েছেন, সৈন্যরা তাজা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।
মান্দালয় ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী জরুরি উদ্ধারকারী দলের প্রধান হালিয়াং মিন ও দ’ুজনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক জরুরি কর্মী প্রাণহানির এ খবর নিশ্চিত করেছেন। হালিয়াং মিন ও সহিংসতায় আরো ৩০ জনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির(এনএলডি) আরো কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।
ওই দিন নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।