রাজনীতি

মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন জাতীয় পার্টির নেতারা

বাংলাদেশে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতারা।

শুক্রবার দুপুর ১টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নির্ধারিত হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের একান্ত সচিব মামুন হাসান সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় পার্টির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেবে।

প্রতিনিধিদলে রয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো–চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।

রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেছেন, অভিন্ন নদীর হিস্যা, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি ও বাণিজ্য বৈষম্যসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তারা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নরেন্দ্র মোদি আজ সকালে দুদিনের সফরে ঢাকায় আসেন।

সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মোদি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান।

একই দিন বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেবেন।

সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথভাবে তিনি বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন।

সফরের দ্বিতীয় দিন, ২৭ মার্চ সকালে মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

তাছাড়া, তিনি সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে দুটি মন্দির পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিসরে মতবিনিময় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

শনিবার বিকালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একান্ত বৈঠক ছাড়াও প্রতিনিধি পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হবে। বৈঠকের প্রান্তিকে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সমঝোতা স্মারক এবং প্রকল্প উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্তকরণের জন্য দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উভয় প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে নিজ নিজ দেশের পক্ষে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পৃথক দুটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করবেন।

এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফর শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ রাতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *