মহানায়ক বুলবুল আহমেদ’র কন্যা ঐন্দ্রিলা ছোটবেলা থেকেই গান ও অভিনয়ের সাথে সম্পৃক্ত। তবে গানের চেয়ে অভিনয়েই তার সরব উপস্থিতি দেখা গেছে নানান সময়ে। অনেকদিন পরে নতুন মৌলিক গান নিয়ে উপস্থিত হতে যাচ্ছেন তিনি। গানের নাম ‘শেষের কবিতা’। গীতিকবিতাটি লিখেছেন ফয়সাল আহমেদ এবং সুর করেছেন আমজাদ হোসেন।
গানটি প্রসঙ্গে ঐন্দ্রিলা আহমেদ বলেন,‘এর আগেও বেশকিছু মৌলিক গান করা হয়েছে আমার। বিশেষত নাটকে গান করেছি আমি। তবে আয়োজন করে এবারই প্রথম আমার মৌলিক গান করা। গানের কথা ও সুর আমার কাছে ভালো লেগেছে। কিন্তু করোনার কারণে গানটির মিউজিক ভিডিও করা হয়নি। যেহেতু আয়োজন করে এটা আমার প্রথম মৌলিক গান, তাই আমিও চাচ্ছি গানটি যথাযথভাবে মিউজিক ভিডিও আকারেই প্রকাশ করা হোক। আমার বিশ্বাস যথাযথভাবে গানটির মিউজিক ভিডিও করে ইউটিউবে প্রকাশ করা হলে, গানটি শ্রোতা দর্শকের ভালো লাগবে।’
এরইমধ্যে অনেক নাটকে কাজ করারও প্রস্তাব পেয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তবে কোন গল্পই তার পছন্দ হচ্ছেনা বিধায় আপাতত নাটকে কাজ করা হচ্ছেনা তার। গেলো ঈদে ঐন্দ্রিলা অভিনীত ‘কলঙ্ক’,‘ ফেকলাভ’ ও ‘চিলে কোঠার সংসার’ নাটক প্রচারিত হয়েছে।
ঐন্দ্রিলা জানান, এ নাটকগুলো ঈদের অনেক আগেই করা ছিলো। কিন্তু প্রচার হচ্ছিলো না। তাই এবারের ঈদে প্রচার হলো নাটকগুলো। করোনার কারণে অবশ্য অনেক কাজ থেকে তাকে বিরত থাকতে হয়েছে দুই সন্তানের কথা মাথায় রেখে।
বাংলাভিশনে তার উপস্থাপনায় রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘সেফ’সি কিচেন’ বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হবার ঠিক আগে নাগরিক টিভিতে তার উপস্থাপনায় ‘রান্নার এক্সপার্ট’ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়। তারও আগে এসএটিভি এবং চ্যানেল আইতেও একই ধরনের অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন ঐন্দ্রিলা।
বেশ কিছুদিন অভিনয়ে বিরতিতে থাকার পর অপূর্ব’র বিপরীতে রুবেল হাসানের নির্দেশনায় ‘বিলাভড’ নাটকে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন ঐন্দ্রিলা। এর পরপরই তিনি মাবরুর রশীদ বান্নাহর ‘সাংসারিক ভালোবাসা’, পৃথুরাজের ‘জলপুকুরে ডুব’সহ আরো বেশকিছু নাটকে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হন। নাফিজের নির্দেশনায় বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেও আলোচনায় আসেন ঐন্দ্রিলা। একজন বিজ্ঞাপন নির্মাতা হিসেবেও তিনি তার অভিষেক ঘটিয়েছেন ‘ই-লার্নিং’র উপর চারটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করে।