রাজধানী নিয়ে বড় বড় অবকাঠামো প্রকল্প হচ্ছে, তবে উপেক্ষিত থাকছে সাংস্কৃতিক বিনোদনের বিষয়টি।
তিন দশক আগের ঢাকার সঙ্গে এখনকার তুলনা করলে দেখা যাবে জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে, বেড়েছে আয়তনও। কিন্তু নাটক মঞ্চায়নের স্থান বাড়েনি একটিও, কমেছে সিনেমা হল।
ঢাকার নাটক পাড়া বলে পরিচিত স্থান ছিল বেইলি রোড, সেখানে দুটি মঞ্চের একটি এখন টিকে আছে। আর মূল নাটক পাড়া সরে এসেছে সেগুন বাগিচায় শিল্পকলা একাডেমিতে।
ফলে ১৯৯১ সালে ঢাকায় যেখানে ৬৪ লাখ মানুষের জন্য নাটক দেখার স্থান ছিল দুটি; এখন তার দ্বিগুণ মানুষের জন্য সেই স্থান দুটিই আছে।
ঢাকা দুই ভাগ হওয়ার পর শিল্পকলা একাডেমি কিংবা বেইলি রোডের মহিলা সমিতি দুটোই পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায়; নিয়মিত নাটক হবে, এমন কোনো মঞ্চই নেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়। অথচ ঢাকা দক্ষিণের চেয়ে উত্তরের জনসংখ্যা ১৭ লাখ বেশি।
উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আলাদা এক শহরই হয়ে উঠেছে উত্তরা, যেখানে ১৫ লাখের মতো মানুষের বাস, অথচ সেখানে নেই একটি সিনেমা হলও। উত্তর-দক্ষিণ মিলিয়ে যতগুলো সিনেমা হল তিন দশক আগে ছিল, তার অনেকগুলোই বন্ধ হয়ে গেছে।
উত্তরার মতো বিভিন্ন দিকে ঢাকা বিস্তৃত হচ্ছে। সেখানে উঁচু উঁচু দালান উঠছে, বিপণি বিতান আর রেস্তোরাঁর ভরে যাচ্ছে এলাকাগুলো, কিন্তু নগরবাসীর সাংস্কৃতিক বিনোদনের খোরাক দেওয়ার মতো কোনো স্থান গড়ে উঠছে না।
বরং যেগুলো ছিল, তা থেকে কমে যাওয়ায় এবং তার বিপরীতে মানুষ বেড়ে যাওয়ায় গড় হিসেবে ঢাকাবাসী প্রতিজনের সাংস্কৃতিক বিনোদনের সুযোগ সঙ্কুচিতই হচ্ছে।
আবার যেটুকু সুযোগ আছে, ক্রমবর্ধমান যানজট তাও নিচ্ছে কেড়ে। একসময় মিরপুর কিংবা উত্তরা কিংবা মিরপুর থেকে নাটক দেখতে শিল্পকলা একাডেমিতে আসতে তিন দশক আগে যদি এক ঘণ্টায় আসা যেত, এখন তা চিন্তাই করা যায় না।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, “এখন যানজটের কারণে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া একটু কঠিনই। ফলে উত্তরার কেউ থিয়েটার দেখতে চাইলে তাকে শিল্পকলায় আসতে হয়। অনেকে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আসতে পারে না।”
একই কথা মিরপুর কিংবা ডেমরা কিংবা মোহাম্মদপুরের জন্যও খাটে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সাংস্কৃতিক বিনোদনের সুযোগ না থাকলে একটি নগর অপূর্ণাঙ্গই শুধু থাকে না, মানবিক বোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে ওঠার জন্যও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
সিনেমা হল: ছিল ১২৩৫টি, ২ যুগ পেরিয়ে কমে এখন ১২০টি
স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে ঢাকা নগরীর আয়তন ছিল ৪০ বর্গকিলোমিটার; জনসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ঢাকা, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে জনসংখ্যাও।
ঢাকা সিটি করপোরেশন দুই ভাগ হওয়ার পর এখন দুটো মিলিয়ে আয়তন বেড়ে হয়েছেন ৩০৫ বর্গকিলোমিটার; আর জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২ লাখ।
১৯৯০ সালের পর উত্তরা আবাসিক এলাকা গড়ে উঠতে থাকে, এখন সেখানে ১৫ লাখ মানুষের বাস। পাশাপাশি এর আশপাশেও প্রসারিত হয়েছে শহর।
কিন্তু উত্তরা এলাকায় নেই সাংস্কৃতিক বিনোদনের কোনো কেন্দ্র। কোনো সিনেমা হল সেখানে গড়ে ওঠেনি এখনও। উত্তরা থেকে কেউ সিনেমা দেখতে চাইলে তাকে আসতে হবে ১০ কিলোমিটার দূরের যমুনা ফিউচার পার্কে।
পুরান ঢাকার মানসীর মতো অনেক সিনেমা হলই গুটিয়ে গেছে
উত্তরায় বসবাসরত বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত নাট্যকার অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন, “উত্তরায় ১৫ লাখেরও বেশি লোক বসবাস করে। কিন্তু এখানে কোনো নাট্যমঞ্চ নেই। গণপাঠাগার নেই। একটি মিলনায়তন আছে, সেখানে নাটক করতে হলে ১৭ হাজার টাকা ভাড়া গুণতে হয়। এত টাকা দিয়ে তো কোনো নাট্যদল এখানে নাটক করতে পারবে না।”
তবে সম্প্রতি উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ করা হয়েছে, জনবহুল উত্তরার জন্য এই একটিই যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন রতন সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে মেয়র আতিক ‘বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চ’ নামে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ উদ্বোধন করেছেন। এখানে আমরা কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করি। তবে জনবহুল উত্তরার সংস্কৃতির বিকাশের জন্য এটা মোটেও পর্যাপ্ত নয়। এই মুক্তমঞ্চের দেখভালের জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে যে লোকটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেও সংস্কৃতিবান্ধব নয়।”
তিন দশক আগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হওয়ার পর কুড়িল-বাড্ডা এলাকার দৃশ্যপট গেছে বদলে। পাশেই গড়ে উঠেছে বনশ্রী ও আফতাব নগরের মতো আবাসিক এলাকা।
সব মিলিয়ে এলাকাটি হয়ে উঠেছে বহু মানুষের বাস। কিন্তু সেখানেও কোনো নাটকের কোনো মঞ্চ গড়ে ওঠেনি। রামপুরা থেকে বাড্ডা পেরিয়ে খিলক্ষেত অবধি কোনো সিনেমা হলই নেই, যমুনা ফিউচার পার্কে ব্লকবাস্টার মুভিজ ছাড়া। গুলশানে একটি সিনেমা হল ছিল, যা বন্ধ হয়েছে বহু দিন আগে।
ঢাকার পূর্বাংশে যাত্রাবাড়ী থেকে ডেমরা পর্যন্ত শহর প্রসারিত হচ্ছে, নতুন নতুন বাড়ি উঠছে সেখানে। কিন্তু সেখানেও কোথাও কোনো মঞ্চ হয়নি নাটকের জন্য। সিনেমা হল যতগুলো ছিল, সেগুলোরও বেশ কয়েকটি এখন বন্ধ।
পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের দিকে ঢাকা শহর ছড়াচ্ছে; কিন্তু সেখানেও অবস্থা একই রকম। গুলিস্তানে ঘটা করে মহানগর নাট্যমঞ্চ নির্মাণ করা হলেও সেখানে নাটক মঞ্চায়নের পরিবেশ না থাকায় কেউ যায়নি। এখন তার নামই বদলে গেছে, মাঝে মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে ব্যবহার হয় এই মিলনায়তন।
পশ্চিম দিকে ধানমণ্ডি পেরিয়ে মোহাম্মদপুর ছাড়িয়ে বছিলা হয়ে তুরাগ তীরে গিয়ে ঠেকেছে ঢাকা শহর। শ্যামলী থেকে মোহাম্মদপুর রিং রোডের পশ্চিম ও উত্তর পাশে গত দুই দশকে বিশাল এলাকাজুড়ে বসতি গড়ে উঠেছে, হয়েছে নিত্য নতুন বিপণি বিতান।
তবে ধানমণ্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকাজুড়ে খুঁজলে একটি সিনেমা হলই কেবল পাওয়া যায়। রায়ের বাজারের সেই মুক্তি সিনেমা হলটিও ধুকছে। এসব এলাকার কোথাও নেই কোনো নাটকের মঞ্চ।
বিশাল মিরপুর এলাকায় এক সময় ছয়টি সিনেমা হল থাকলেও সবগুলো এখন চালু নেই। নাটক কিংবা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের একটি জায়গা ছিল টাউন হল, কিন্তু সেটাও এখন আর নেই।
১৯৭৮ সালে তৎকালীন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে এবং মিরপুর উন্নয়ন কমিটির তত্ত্বাবধানে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশে টাউন হল নির্মাণ করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হতে থাকে।
টাউন হল ঘিরেই মিরপুরের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছিল। দুর্বল অবকাঠামোর কারণে দুই দশকেই সেই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০০৩ সালে হলটি ভেঙে ফেলা হয়। পরে ১৯ বছরেও আর সেই টাউন হল ফিরে পায়নি মিরপুরের বাসিন্দারা। টাউন হল পুনরুদ্ধারে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন মিরপুরের সংস্কৃতিকর্মীরা।
মিরপুর সাংস্কৃতিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম শাহীন বলেন, “মিরপুরে একটি আধুনিক নাট্যমঞ্চ নির্মাণ করা আমাদের প্রাণের দাবি। যেখানে থাকবে নাটক, সংগীত, নৃত্য, চিত্রকলা আবৃত্তিসহ শিল্পের সব শাখার আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মঞ্চ, গ্যালারি, পাঠাগার।”
এমন নগর ‘অপূর্ণাঙ্গ’
ঢাকা শহর যেমন বাড়ছে, গত এক দশকে বড় বড় পরিকল্পনায় ফ্লাইওভার, দ্বিতল সড়ক, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় অবকাঠামো গড়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নগরবাসীর সাংস্কৃতিক বিনোদনের কেন্দ্র গড়ার দিকে নীতি-নির্ধারকদের অমনোযোগে হতাশ অনেকে।
নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, “গত ৩০ বছরে ঢাকা শহর বড় হয়েছে। এই সময়ে বড় বড় প্রকল্প হয়েছে, মহাপ্রকল্প হয়েছে। কিন্তু সংস্কৃতি নিয়ে তেমন একটা ভাবনা ছিল বলে মনে হয় না।
“রাজধানীকে ঘিরে যে সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করার কথা ছিল, সেখানে নগরের নীতি-নির্ধারকরা সম্ভবত খুব একটা উৎসাহিত ছিলেন না। সাংস্কৃতিক বলয় তো পরের কথা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরির ক্ষেত্রেও তেমন একটা উৎসাহ দেখা যায়নি।”
গুরুত্ব না পাওয়া এই বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “বোধ করি, আমরা মৌলিক চাহিদা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন ছিলাম। কিন্তু এটা সবাই বোঝে না যে তারুণ্যের সুস্থ বিকাশে শিক্ষা-সংস্কৃতির সুষ্ঠু পরিবেশ দিতে না পারলে মানবিক বোধসম্পন্ন হয়ে প্রজন্ম বেড়ে উঠবে না।”
“নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আমাদের সাংস্কৃতিক অবকাঠামো যে অপ্রতুল, এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এতে আরও অগ্রণি ভূমিকা পালন করতে পারে।”
রামেন্দু মজুমদার বলেন, রাজধানীকে ঘিরে একটি সাংস্কৃতিক বলয়ের পরিকল্পনা করা উচিৎ। মিরপুর, উত্তরা, ধানমণ্ডি, বনশ্রী, বাড্ডা, পুরান ঢাকা, কামরাঙ্গীরচর, বছিলাসহ পুরো রাজধানীতে সংস্কৃতিচর্চার জন্য অবকাঠামোগত পরিকল্পিত উন্নয়ন জরুরি।
কোনো উদ্যোগ কি আসছে?
নাটকের মঞ্চ সঙ্কটের কথাটি বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষের নজরে আনছেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ বলেন, “ঢাকায় মঞ্চ সংকটের বিষয়টি নিয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দুই সিটি মেয়রই কাজ করছেন। আমাদের সাথে আলাপ হয়েছে।
“দুই সিটিতে ৮টি মঞ্চ তৈরি করা হবে। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে হবে ৩টা মঞ্চ এবং দক্ষিণ সিটিতে হবে ৫টা মঞ্চ। এই ৮টি মঞ্চ নির্মিত হলে মঞ্চ সংকট অনেকটাই কমবে।”
শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা জেলা শিল্পকলা একাডেমির জন্য মিরপুরে একটি জায়গা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সেখানে একটি ভবন করার পরিকল্পনা চলছে। যেখানে মিলনায়তন, মহড়া কক্ষসহ অন্যান্য সুবিধা থাকবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, “সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। এখন তো জায়গা খুঁজে পাওয়া একটু কঠিন। মিরপুরের টাউন হলের জায়গাটির ব্যাপারে কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। এছাড়া নতুন পরিকল্পনাও করা হচ্ছে।”
যে মঞ্চগুলো রয়েছে- সেগুলোকে সক্রিয় করার জন্য সাংস্কৃতিক জোট কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি না- জানতে চাইলে আহকাম উল্লাহ বলেন, “পুরান ঢাকায় জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আছে। আদি ঢাকা সাংস্কৃতিক জোট প্রতি বছর বাহাদুর শাহ পার্কে অনুষ্ঠান করে। আমরা তাদের বলেছি, এরপর যখন অনুষ্ঠান করবে, তখন যেন জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে নিয়েও পরিকল্পনা করা হয়।”
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, “সংস্কৃতির তো বিকল্প কিছু নাই। আমি নিজে সংস্কৃতির মানুষ, গান আমার প্রাণ। আমি ভীষণ গানপাগল মানুষ। সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ করে দেওয়ার জন্য আমরা কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। উত্তরায় বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ করেছি, মিরপুরেও মুক্তমঞ্চ করেছি।”
নগর কর্তৃপক্ষের নতুন এক সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “নতুন করে আমাদের যত জায়গায় মার্কেট হবে, সেখানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রাখার ব্যাপার একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”