মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মার্কিন প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাইবো। তাদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
রোববার (১৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেদনে এমন অনেক উৎস থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে, যাদের পলিটিক্যাল এজেন্ডা রয়েছে। আমরা আশা করবো, যাদের কাছ থেকে তারা তথ্য নিচ্ছেন, তাদের নিকট অতীত তারা আরও বিস্তারিত জেনে নেবেন। নিকট অতীতে তারা কী করেছে, সেটা জানা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে আইন ও শালিস কেন্দ্রের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭৫টি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে মার্কিন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ৬০৬টি। তাই মার্কিন প্রতিবেদনের কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ আইএলও’র ৮টি ধারা রেটিফাই করেছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ২টি ধারা রেটিফাই করেছে। যারা নিজেরাই শ্রম আইনের রেটিফাই করেনি, তারাই আবার অন্যদের পরামর্শ দেয়।
তিনি বলেন, মার্কিন প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চাইবো। তাদের সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, র্যাব এখন একটি ব্র্যান্ড নেম। র্যাব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জঙ্গি-সন্ত্রাসী প্রতিরোধে ভূমিকা রেখেছে।
গত ১২ এপ্রিল প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করা হয়।