আন্তর্জাতিক

যেকোনো মুহূর্তে সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজ উদ্ধার

সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজ ‘এভার গিভেন’ শিগিগরই সরানো সম্ভব হতে পারে বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিক জাপানিজ প্রতিষ্ঠান শোয়েই কিসেন কাইশা লিমিটেড। এমনকি শনিবারই কাজটি সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছিল তারা। শোয়েই কিসেনের প্রেসিডেন্ট য়ুকিতো হিগাকি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সুয়েজ খালের তীর ও তলানি খননের জন্য ১০টি টাগবোট নিয়োগ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও জাহাজটি সরানোর জন্য সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যেখানে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিশেষজ্ঞ দলও থাকবে। অতিরিক্ত সরঞ্জামের মাধ্যমে তারা জাহাজের নিচের পলি সরাতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘জাহাজটিতে পানি ঢুকছে না। এটির রাডার ও প্রোপেলারে কোনো সমস্যা নেই। যখন এটি সরানো হবে, এটি চলাচলে সক্ষম হবে।’ তবে জাহাজটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কোম্পানি বার্নহার্ড শুল্ট শিপম্যানেজমেন্ট (বিএসএম) জানায়, জাহাজটি সরানোর জন্য একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পণ্য পরিবহন বিষয়ক জার্নাল লয়েড’স লিস্টের তথ্যমতে, সুয়েজ খালে মালবাহী জাহাজটি আটকে যাওয়ায় প্রতিদিন ৯৬০ কোটি টাকার পণ্য পরিবহন আটকে আছে। এর ফলে প্রতি ঘণ্টায় ক্ষতি হচ্ছে ৪০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরকে সংযুক্ত করেছে সুয়েজ খাল। লয়েড’স লিস্ট জানায়, এ খালের পশ্চিম দিক দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫১০ কোটি ডলার ও পূর্ব দিক দিয়ে প্রতিদিন ৪৫০ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন করা হয়।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জাহাজটি সুয়েজ খালের তলানির সঙ্গে আটকে যায়। জাহাজটি খালের মাঝ বরাবর আটকে যাওয়ায় দুদিক থেকে আর কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। বিবিসি জানিয়েছে, সুয়েজ খাল বন্ধ হয়ে থাকায় এর প্রবেশ মুখে লোহিত সাগরে ২০০টিরও বেশি জাহাজ অপেক্ষা করছে, এতে সেখানে বড় ধরনের জাহাজ-জট তৈরি হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ২ হাজার ঘনমিটার বালু সরাতে সক্ষম একটি সাকশন ড্রেজার বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *