রপ্তানি ও উৎপাদনমুখী শিল্প খাতের টেকসই প্রবৃদ্ধি তরান্বিত করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহক পর্যায়ে এ ঋণের সুদ হার পাঁচ শতাংশ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে। এই তহবিল থেকে যোগ্য গ্রাহকরা মূলধনী যন্ত্রাদি ও যন্ত্রাংশের আমদানি মূল্য পরিশোধ পরবর্তী অর্থায়নের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে পুণঃঅর্থায়নের মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় এ ঋণ দেওয়া হবে। ঋণের মেয়াদকাল হবে পাঁচ থেকে ১০ বছর।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, আর্দ্রকরণে পানি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি, পানি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা ও পুনর্ব্যবহার, নবায়নযোগ্য শক্তি, শক্তি দক্ষতা, তাপ ও তাপমাত্রার ব্যবস্থাপনা, বায়ু চলাচল ও প্রবাহ দক্ষতা, কর্ম পরিবেশ উন্নয়ন উদ্যোগ এবং সময়মতো বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য ক্ষেত্রে রপ্তানি এবং উৎপাদনশীল শিল্প খাতে সবুজ পরিবশেবান্ধব মূলধনী যন্ত্রাদি ও যন্ত্রাংশ আমদানি বা কেনা সহজ করতে এই ঋণ দেওয়া হবে।
ঋণ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট বিভাগের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংককে চুক্তি করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ বাণিজ্যিক ব্যাংককে ১ শতাংশ সুদ হারে পুনঃঅর্থায়ন করবে। বাণিজ্যিক ব্যাংক গ্রাহক পর্যায়ে দেবে ৫ শতাংশ হারে। একক গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া যাবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড থাকবে এক বছর।
সব রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক এই ঋণ বিতরণ করতে পারবে। তবে ১০ শতাংশের নিচে খেলাপি ঋণ আছে, এমন দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকও এই পুনঃঅর্থায়ন নিতে চুক্তি করতে পারবে। খেলাপি ঋণ গ্রহীতারা এই ঋণ সুবিধা পাবে না। এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে গ্রাহককে দিতে হবে মোট মূলধনের ৩০ শতাংশ। ৭০ শতাংশ দেবে ব্যাংক। পরপর দুটি রপ্তানি বিল পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ব্যর্থ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানও এই ঋণের সুবিধা পাবে না।