মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সংকটের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবাসাইটে বৃহস্পতিবার বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে ব্লিংকেন বলেন, রোহিঙ্গারা বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারবে না বুঝতে পেরে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে আসছে।
ব্লিংকেন বলেন, আমরা বার্মা, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের অন্য কোথাও এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা করেছি। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া সরকারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, একটি আন্তর্জাতিক ও মানবিক সহায়তার অপরিহার্য উপাদান হিসেবে, আমরা বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করছি, যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবন নতুন করে শুরু করতে পারে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরু হলে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। এছাড়া গত পাঁচ বছরে আরও অনেক রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয় বাংলাদেশে। সব মিলে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন ১২ লাখের অধিক বলে ধারণা করা হয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, সংখ্যাটি ক্রমেই বড় হচ্ছে।
বাংলাদেশ এখন রোহিঙ্গার ভারে জর্জরিত। অথচ গত পাঁচ বছরেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি নেই। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অবস্থানজনিত সংকটটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানাভাবে আলোচিত হয়েছে। জাতিসংঘেও এ সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গারও প্রত্যাবাসন হয়নি।