হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের (তৃতীয় টার্মিনাল) গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ করবে জাপান। তারা গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে।তাদেরই এ কাজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের কাজ দেওয়ার জন্য কী ধরনের শর্ত দেওয়া হবে, সেটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এটিজেএফবি ডায়ালগে এসব কথা জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
ডায়ালগের আয়োজন করে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সভাপতি তানজিম আনোয়ার। স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ।
বিমানের নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, আমরা চেয়েছিলাম অক্টোবরের মধ্যে নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালু করতে। তবে ফ্লাইটের অনুমতির ক্ষেত্রে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সময়মতো আবেদন না করায় প্রক্রিয়াটা পিছিয়ে গেছে। আমরা বিমানকে লিখিতভাবে জানিয়েছি এ বিষয়টি। তাছাড়া কোভিড-১৯ কারণেও কিছুটা পিছিয়েছে এ প্রক্রিয়া। তবে আমি এ বছরেই নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আশাবাদী।
বিমানের উড়োজাহাজ কেনা প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের বহর বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন ও কার্গো সক্ষমতা বাড়াতে বলেছেন। এ কারণেই এয়ারক্রাফট কেনা হবে। তবে শুধু এয়ারবাস কেনা হবে, বোয়িং কেনা হবে না, সেটা নয়। যে প্রতিষ্ঠান ভালো অফার দেবে তাকেই বেছে নেবে বিমান। আমাদের সঙ্গে বোয়িংয়ের আগে থেকেই সম্পর্ক আছে, এয়ারবাসের ইস্যুও এসেছে। এয়ারবাস বোয়িং থেকে ভালো অফার দিলে আমরা ওদিকেই যাব।
হেলিকপ্টারের অপারেটরদের হ্যাঙ্গার ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে মো. মফিদুর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার খাত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। আমরা তাদের স্বল্প ভাড়া নির্ধারণ করেছি। যেহেতু এটা সরকারি জায়গা, পৃথিবীর কোনো দেশেই এগুলো ফ্রি দেয় না। তাই আমরাও ভাড়া নির্ধারণ করেছি। তবে তাদের ভাড়া অনেক কম ধরা হয়েছে। আমরা প্রস্তাব করেছি, অর্থ মন্ত্রণালয় এই ভাড়া চূড়ান্ত করবে। আমরা তাদের প্রতি সর্বোচ্চ সহানুভূতিশীল হয়ে ভাড়া নির্ধারণ করেছি।