জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি বলেছেন, ‘বৈষম্যহীন ও দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, শোষণ ও নিষ্পেষণমুক্ত সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক দেশ গড়তে আমাদের আরও কাজ করে যেতে হবে।’
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে সব ভেদাভেদ ভুলে মহান স্বাধীনতা দিবসের চেতনায় সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে শনিবার এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
দেশবাসীসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন আজ। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে এই দিনটি আমাদের পাওয়া। বাঙালি প্রতিজ্ঞা এবং সংগ্রামের অঙ্গীকারে উদ্দীপ্ত হয় এদিনে। বাঙালি জাতির জীবনে ২৬ মার্চ দিনটি একই সঙ্গে গৌরব ও শোকের। হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে প্রতিটি বাঙালির মনে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের বীজ রোপিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মৃত্যুপণ লড়াই ও রক্তসমুদ্র পাড়ি দিয়ে বীর বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে জাতীয় ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং শ্রেণি বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য। এখনো সেই লক্ষ্য পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়নি।’