বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনস্বার্থের কোনো দাবি বা অধিকারকে পরোয়া করে না। সরকার তাদের কৃতকর্মের জন্য এখন পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন। তবে শত বাধা ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও বর্তমান সরকার জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না। ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। সরকারের পতন অনিবার্য।’
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে ৩৭ জন কৃষকের নামে দায়েরকৃত মামলায় ইতোমধ্যে ১২ জনকে গ্রেফতারের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।’
‘এছাড়া নেত্রকোনা জেলাধীন বারহাট্টা উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে কৃষক দলের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বোরো ধানের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পৈশাচিক হামলা চালিয়েছে।এতে বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল আলমসহ কৃষক দলের অনেক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন’- এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিরোধী দলহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘকাল ভোগ করার বাসনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাগামহীনভাবে বাধা দিচ্ছে। সরকারের মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, গুরুতর আহত, বানোয়াট মামলা দিয়ে গ্রেফতার করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ পণ্ড করাকে নিত্যদিনের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড হিসেবে গণ্য করছে। গণধিকৃত আওয়ামী সরকার জনবিস্ফোরণ দেখে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নিঃশব্দ পরিবেশ সৃষ্টি করতেই নিশিরাতের সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে স্তব্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আর সেজন্যই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও মানবিক কর্মসূচির ওপর বেপরোয়া হামলা শুরু করেছে।’